Kestopur Canal: কেষ্টপুর খালে জোর তল্লাশি বিপর্যয় মোকাবিলা দলের, ১৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও খোঁজ নেই গৌতমের
Kestopur Canal: পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন থেকেই ডেলিভারি বয়ের কাজ করতেন গৌতম। তিনদিন আগে তিনি মদ্যপ অবস্থায় এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই সময় তিনি তাঁর গাড়ির চাবি নিজের গাড়িতে না লাগিয়ে অন্যের গাড়িতে লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে আসে পুলিশ।
কলকাতা: পেরিয়ে গিয়েছে ১৪ ঘণ্টার বেশি সময়। কেষ্টপুর খালে পড়ে এখনও নিখোঁজ যুবক। শনিবার রাতে কেষ্টপুর উদয়নপল্লীতে লোহার ব্রিজ থেকে কেষ্টপুর খালে পড়ে যায় ওই যুবক। যদিও অনেকই বলছেন তিনি পড়ে যাননি, ঝাঁপ দিয়েছেন। এখানেই উঠে আসছে মানসিক অবসাদের কথা। যুবকের নাম গৌতম মল্লিক। তিনি উদয়নপল্লী এলাকার বাসিন্দা বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু, এখন তাঁর কোনও খোঁজ না মেলায় চিন্তা বাড়ছে পরিবারের। সূত্রের খবর, রাতে তল্লাশির পর এদিন সকাল থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা কেষ্টপুর খালে নামেন। নৌকা নিয়ে চলে তল্লাশি। খোঁজ চালাচ্ছে বাগুইআটি থানার পুলিশ।
পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন থেকেই ডেলিভারি বয়ের কাজ করতেন গৌতম। তিনদিন আগে তিনি মদ্যপ অবস্থায় এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই সময় তিনি তাঁর গাড়ির চাবি নিজের গাড়িতে না লাগিয়ে অন্যের গাড়িতে লাগিয়ে দিয়েছিলেন। সেই দেখেই স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। পুলিশ এসে ধৃত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে। নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর গাড়ি।
পুলিশের তরফে জানানো হয় থানায় এসে বৈধ কাগজপত্র দেখালে তারপরই ছাড়া হবে গাড়ি। গৌতমের পরিবারের লোকেদের দাবি, এ ঘটনার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল ওই যুবক। সে কারণেই আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারে। যদিও এ বিষয়ে এখনও অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি কোনও বিষয়ে তাঁর বাড়িতে কোনও ঝামেলা হয়েছে কিনা তাও খোঁজ নিয়ে দেখছে পুলিশ। কথা বলা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। নিখোঁজ যুবকের বাড়ি থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। এমনটাই দাবি বাগুইহাটি থানার পুলিশের।