SSC: ‘দলে দলে সবাই গিয়ে কমিশনের সামনে আত্মহত্যা করব’, হুঁশিয়ারি ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 24, 2024 | 4:53 PM

SSC: এই নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "দায় তো মুখ্যমন্ত্রী। যদি রাজ্যের তরফে যোগ্য অযোগ্যদের বাছাই করে তালিকা আদালতে দিত, তাহলে তো এই অবস্থা হত না। ক্ষমা চেয়ে নিত। অযোগ্যদের নামটা আলাদা করে দিত।"

SSC: দলে দলে সবাই গিয়ে কমিশনের সামনে আত্মহত্যা করব, হুঁশিয়ারি যোগ্য চাকরিহারাদের
শহিদ মিনারে 'যোগ্য'দের অবস্থান
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: হাইকোর্টের রায়ে চাকরি খুইয়ে অবস্থানে এবার ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা। তাঁদের বক্তব্য, অযোগ্যদের অনিয়মের দায় তাঁদের ঘাড়ে কেন এসে পড়বে? প্রশ্ন তুলে ভোটের বাংলায় তাঁরা নতুন করে আন্দোলনে নেমেছেন। শহিদ মিনার চত্বরে চলছে বিক্ষোভ অবস্থান।

এক চাকরিহারা ‘যোগ্য’ বলেন, “আমরা এখন দলে দলে গিয়ে সবাই আত্মহত্যা করব। গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে কমিশনের সামনে সুইসাইড করব। এছাড়া আর পথ কী খোলা? আমরা যোগ্য। পাঁচ হাজার জন চুরি করেছে, তার খাঁড়া আমাদের এসে পড়ল, আমরা জানতেও পারলাম না। আমার ১০ হাজার টাকা লোন চলে। কিছুদিন পর স্যালারি বন্ধ হয়ে যাবে। কে নেবে আমাদের দায়িত্ব?”

আরেক ‘যোগ্য’ চাকরিহারা বলেন, “আজকে খাচ্ছি, কালকে কীভাবে খাব, সেটাই ভাবাচ্ছে। খাই না খাই, লোনের টাকা তো দিতে হবে। অনেকেই তো লোন নিয়ে বাড়ি বানিয়েছে, গাড়ি কিনেছে। আমাদের ভবিষ্যৎ পুরোটাই অনিশ্চিত।”

এই নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দায় তো মুখ্যমন্ত্রী। যদি রাজ্যের তরফে যোগ্য অযোগ্যদের বাছাই করে তালিকা আদালতে দিত, তাহলে তো এই অবস্থা হত না। ক্ষমা চেয়ে নিত। অযোগ্যদের নামটা আলাদা করে দিত।”

অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২৬ হাজার শিক্ষককে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। আবার এক মাসের মধ্যে সুদ দিয়ে টাকা ফেরত দিতে হবে। বিজেপি নেতাদের বলি, এই সব কেস করে সরকারি কর্মীদের চাকরি খাচ্ছো, আপনাকে বললে পারবেন দিতে টাকা ফেরত? বাংলার কি সব স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে? শিক্ষকের চাকরি কি আর হবে না?”

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। তাতে চাকরি গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। তাঁদের মধ্যে পাঁচ হাজারের মতো বেনিয়মে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। কিন্তু রাজ্যের তরফ থেকে আলাদা করে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি আদালতে। তাই গোটা প্যানেলটাই বাতিল করা হয়েছে বলে আদালত নির্দেশনামায় উল্লেখ করেছে।

Next Article