কলকাতা: চারদিন হল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এতটাই গুরুতর অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল যে তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন চিকিৎসকেরাও। সোমবার তাঁকে নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে সরিয়ে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে আনার পরই চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বছর ৭৯-র বুদ্ধবাবু। আর এবার একটু সুস্থ হতেই বাড়ি ফিরতে চাইলেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসকদের কাছে বাড়ি ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার তাঁর আচ্ছন্নভাব প্রায় পুরোটাই কেটে গিয়েছে। তবে বাইপ্যাপ চালু রাখা হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসকেরা তাঁর ফিজিওথেরাপিতে জোর দিয়েছেন। চিকিৎসকরা চাইছেন, শ্বাসনলীর পেশীর শক্তি যাতে বাড়ে, সে কারণেই ফিজিওথেরাপি করা হচ্ছে। চেস্ট মাসলের জন্য বিভিন্ন ব্যায়াম করানো হচ্ছে।
জ্ঞান ফেরার পরই বাইপ্যাপ সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন বুদ্ধবাবু। বাইপ্যাপ হল এক বড় মাস্কের মতো জিনিস। সেটা সর্বক্ষণ মুখে লাগানো থাকলে অস্বস্তি হওয়ারই কথা। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, তিনি সেটা সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে বোঝাচ্ছেন কেন বাইপ্যাপ দেওয়া জরুরি। কেন তাঁকে মিনিটে ২ লিটার করে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে, সেটাও বোঝাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এদিকে জ্ঞান ফেরার পরই বাড়ি ফিরতে চেয়েছেন তিনি। অসুস্থ হয়ে পড়লেও সাধারণত হাসপাতালে ভর্তি হতে চান না বুদ্ধবাবু। এবারও শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পরও বাড়িতেই ছিলেন বেশ কয়েকদিন। পরে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে, হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে।
চারদিন পর অবশেষে অবস্থার উন্নতির কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। রক্তচাপ, পালস রেট স্বাভাবিক। তবে স্টেরয়েড দেওয়ার কারণে প্রথমে সুগার বাড়লেও পরে তা কমতে শুরু করেছে। তবে কবে হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছাড়া হবে, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।