কলকাতা: অসুস্থ সোনালি গুহ (Sonali Guha)। ভর্তি করা হল হাসপাতালে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎ রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটা কমে যায়। সুগার ফল করায় মারোয়াড়ি রিলিফ সোসাইটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
জানা গিয়েছে, বহুদিন ধরেই সুগারের সমস্যা রয়েছে সোনালি গুহের। এদিন সন্ধ্যায় বাড়াবাড়ি হয়। একেবারে রক্তে শর্করার মাত্রা নেমে যায়। শরীর একেবারে ছেড়ে দেয় এক সময়ের এই দাপুটে তৃণমূল নেত্রীর। পরিস্থিতি খুব একটা ভাল না থাকায় পরিবারের লোকজনও আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি। সোজা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে।
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে দল ছাড়েন সোনালি গুহ। তৃণমূলে টিকিট না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। এরপরই বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপি যোগের আগে সোনালি বলেছিলেন, “আমি তো জোড়া ফুল ছাড়িনি। জোড়া ফুলই আমার থেকে সরে গিয়েছে। আমি তো একজন রাজনৈতিক কর্মী। আমি যদি ঘরে বসে যাই। তাহলে আমি স্থবির হয়ে যাব।”
প্রিয় দিদি @MamataOfficial @AITCofficial pic.twitter.com/ZOtiSvvUSO
— SONALI GUHA (BOSE) (@SONALIGUHABOSE) May 22, 2021
একই সঙ্গে সোনালির বক্তব্য ছিল, “রাজনীতি না করলে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যাবে। আমি খিটখিটে হয়ে যাব। আমার সংসারে তার প্রভাব পড়বে। কংগ্রেসে চলে যেতাম। কিন্তু কংগ্রেস তো সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধেছে। তাই ঠিক করেছি যে আমি বিজেপিতে যাব। ওখানে আমাকে যেভাবে চালিত করা হবে, তাই করব।” পদ্মশিবিরে যোগও দেন মুকুল রায়ের হাত ধরে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর তাঁর কোনও অভিমান রয়েছে কি না সে প্রশ্নের জবাবে সোনালি বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আমার শুধুই অভিমান। ৩২ বছরের সঙ্গীকে যে কেবল সুগার হাই বলে দূরে সরিয়ে দিতে পারে, তাকে কী বলব! আমার থেকেও তো কত জন রয়েছেন দলে যাদের সুগার হাই। আমি নাম করব না, এমন এমন লোককে প্রার্থী করা হয়েছে, যারা কানে শুনতে পায় না, যাদের ধরে তুলতে হয়। যাকে ভাল মনে করেছে করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর তাদের কোনও অবদানই ছিল না।” উল্লেখ্য, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোনালির নাম করেছিলেন। এবং জানিয়েছিলেন হাই সুগারের জন্যই তাঁকে এবার টিকিট দেওয়া হচ্ছে না।
যদিও বিজেপিতে গিয়েও মন টেকেনি সে অধ্যায় খুব একটা সুখকর হয়নি। ভোটের ফল প্রকাশের পর মাস ঘোরার আগেই টুইটারে সোনালি লিখেছিলেন, ‘আমি আবেগপূর্ণ হয়ে চরম অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম। এটা ছিল আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত, কিন্তু সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনই আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচব না। দিদি আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, দয়া করে ক্ষমা করে দিন। আপনার আঁচলের তলে টেনে নিয়ে বাকি জীবনটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন।’
আরও পড়ুন: Oath Taking Ceremony: অবস্থান বদল রাজ্যপালের, শেষবেলায় বললেন শপথ পড়াবেন অধ্যক্ষই