কলকাতা: রাজ্যের প্রথম সারির সরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে একটি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ। ওই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন রাজ্য়ের মেধাবী পড়ুয়ারা। ভাল পরিষেবা পাওয়ার জন্য রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে প্রতিনিয়ত যান রোগীরা। কিন্তু সেই হাসপাতালের অন্দরে ঠিক কী কী চলত? চেস্ট মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যু ঘিরে যখন তোলপাড় গোটা দেশ, তখন একে একে সামনে আসছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ‘কীর্তি।’
আরজি করে কান পাতলেই শোনা যায় সন্দীপ ঘোষের দাপটের কাহিনী। ছাত্র থেকে ডাক্তার, সবার ওপরেই চলত খবরদারি! তবে সেখানেই শেষ নয়। হাসপাতালে পড়ে থাকা দাবিদারহীন মৃতদেহ নিয়েও নাকি চলত ব্যবসা। অভিযোগ নতুন নয়। আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি, যিনি হাইকোর্টে মামলা পর্যন্ত করেছেন, তাঁর অন্যতম অভিযোগ ছিল এই ‘মৃতদেহের ব্যবসা’ নিয়ে। বেওয়ারিশ লাশ পাচার করে দেওয়া হত বলে অভিযোগ তুলেছিলন তিনি। আর একই রকম অভিযোগ তুললেন ওই হাসপাতালের মর্গের প্রাক্তন কর্মী তারক চট্টোপাধ্য়ায়।
ওই ব্যক্তি বলছেন, ‘আমি প্রমাণ করতে পারব না, তবে শুনেছি আনক্লেমড বডি থেকে অর্গান নিয়ে নেওয়া হত। পাঠিয়ে দেওয়া হত বেসরকারি হাসপাতালে।’ সন্দীপ ঘোষের আমলেই এইসব শুরু হয় বলে দাবি করেছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে তারক চট্টোপাধ্যায় একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। বলেন, “২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ইএনটি বিভাগের ওয়ার্কশপের জন্য কয়েকটি মৃতদেহ চাওয়া হয়েছিল। তৎকালীন এইচওডি সেই দেহ দিতে রাজি হননি। মৃতদেহের সম্মান নষ্ট হোক, তা চাননি। সেই সময় সন্দীপ ঘোষের বাহিনী চড়াও হয়েছিল। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছিল। আমাকে বলেছিল, ‘পালিশ করে দেব’।” তিনি জানান, দাবিদারহীন মৃতদেহ সৎকারের নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সেটা মানা হত না বলেই অভিযোগ তাঁর।