কলকাতা: বিতর্ক মিটতে না মিটতেই ফের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠল ডিএলএডের (DElEd) পরীক্ষায়। সোমবারের পর বুধবারও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ল প্রশ্নপত্র। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাঁরা যে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন আর ইন্টারনেটে যে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছে, তা হুবহু একই। কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও কী ভাবে এই প্রশ্ন হয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে ফের উঠল প্রশ্ন। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই জেরবার হতে হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। এবার ফের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল সেই পর্ষদকেই।
ডিএলএড পার্ট টু-এর পরীক্ষা চলছিল। সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার পরপর তিন দিন ছিল পরীক্ষা। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টার কিছু পরই একটি ইন্টারনেটে প্রকাশ হয়ে যায় একটি প্রশ্নপত্র। সেটিই আসল কি না, তা নিয় সন্দেহ থাকলেও, পরে দেখা যায় সেটিই আসল প্রশ্নপত্র।
ডিএলএড নিয়ে যেহেতু অনেক অভিযোগ ছিল, তাই এবার নিরাপত্তার বন্দোবস্ত একেবারে আঁটোসাঁটো। বন্ধ বাক্সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রশ্ন। পরীক্ষার্থীদের মোবাইল নিয়ে হলে প্রবেশ করার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই সব নিয়মের ক্ষেত্রে কড়া নজরও রাখা হয়েছে বলে দাবি পর্ষদের।
গত সোমবার একইভাবে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছিল। পরে ফাঁস হওয়ার কথা কার্যত মেনেও নেয় পর্ষদ। সাংবাদিক বৈঠক করে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল দাবি করেন, কেউ বা কারা পর্ষদ তথা রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এমনটা করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। তিনি উল্লেখ করেন, পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা যদি এমন কোনও বিশ্বাসঘাতকতার কাজ করে থাকেন, তাহলে তাতে পর্ষদের কিছু করার নেই। তবে প্রশ্ন ফাঁস কীভাবে হচ্ছে তা জানতে তদন্ত কমিটি তৈরি করেছে পর্ষদ।