Patuli Fake Note: OLX-এ দেখে বাইক কিনতে গিয়েছিলেন, চকচকে নোটে দামও মেটান, কিন্তু সেই নোটই ধরিয়ে দিল যুবকের আসল পরিচয়

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

May 27, 2022 | 11:59 AM

Patuli Fake Note: টাকার গঠন দেখে সন্দেহ হয় সাগর ও তাঁর ভাইয়ের। পরে ভাল করে যাচাই করতেই চক্ষু চড়কগাছ। জাল নোট বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত যুবককে ধরে ফেলেন তাঁরা।

Patuli Fake Note: OLX-এ দেখে বাইক কিনতে গিয়েছিলেন, চকচকে নোটে দামও মেটান, কিন্তু সেই নোটই ধরিয়ে দিল যুবকের আসল পরিচয়
জাল নোট উদ্ধার

Follow Us

কলকাতা: OLX এ বিজ্ঞাপন দেখে বাইক কিনতে গিয়েছিলেন। যথাযথ দাম দিয়ে বাইক কিনেও ফেলেন। বাইকের মালিককে টাকা মিটিয়ে বাইক নিয়ে ফিরছিলেন। এরই মধ্যে পিছন থেকে বাইক মালিকের ডাক। বাইক নিয়ে কার্যত ঊর্ধ্বশ্বাসে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন যুবক। কিন্তু কাগজে ভুল রয়েছে, এই বলে দাঁড় করিয়েই যুবকের হাতটা চেপে ধরেন বাইক মালিক ও তাঁর ভাই। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তারপরই পর্দাফাঁস। মালিক যত টাকা চেয়েছিলেন, তত টাকাই দিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু গোটাটাই জাল নোটে। জাল নোট দিয়ে বাইক কিনতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে পাটুলি থানার বিরজি পূর্ব পাড়ার। ধৃত যুবকের নাম সায়ন দাস।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগর সাঁপুই নামে পাটুলির এক বাসিন্দা বাইক বিক্রির জন্য বেশ কিছুদিন আগে OLX-এ একটি বিজ্ঞাপন দেন। বিজ্ঞাপন দেখে বৃহস্পতিবার সাড়ে আটটা নাগাদ এক যুবক বাইক কেনার জন্য আগ্রহ দেখান। সাগর ও তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সাগরের বয়ান অনুযায়ী, প্রথম থেকেই ওই যুবকের আচরণে একটা অস্বাভাবিকত্ব লক্ষ্য করেছিলেন তিনি। ওই যুবক যেন খুব তাড়ায় রয়েছে বলে মনে হয়েছিল তাঁর। অভিযোগ, কথাবার্তা বলে টাকা পয়সা দ্রুত মিটিয়ে বাইকটি নিয়ে কোনওরকমে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন অভিযুক্ত যুবক।

টাকার গঠন দেখে সন্দেহ হয় সাগর ও তাঁর ভাইয়ের। পরে ভাল করে যাচাই করতেই চক্ষু চড়কগাছ। জাল নোট বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত যুবককে ধরে ফেলেন তাঁরা। পরে পাটুলি থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে যুবককে আটক করে। পরে ধৃত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর একটি দোকান থেকে একটি ল্যাপটপ ও কালার প্রিন্টার বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

বাইক মালিকের বক্তব্য, “এত তাড়াহুড়ো করছিলেন যুবক, প্রথম থেকেই কেমন একটা লাগছিল। টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়েই বাইক নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু নোটগুলো হাতে পেয়ে কেমন একটা লাগে। অন্য এক ছুতো করে ছেলেটাকে দাঁড় করিয়েছিলাম। তারপর পুলিশে খবর দিই।”

পুলিশের জেরায় দুই হাজার টাকার নোট প্রিন্ট করার কথা স্বীকার করেছেন ওই যুবক। তবে এই যুবক কোনও বড় চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শুধুই কি বাইক কেনার জন্যই অভিযুক্ত যুবক টাকা প্রিন্ট করেছিল? নাকি আরও অন্য কোনও বড় কারণ রয়েছে? পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যুবককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Next Article