কলকাতা: কসবা (Kasba) ভ্যাকসিনকাণ্ডে ইতিমধ্যেই একাধিক পুরকর্তার মিথ্যা নাম নিয়ে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে। এবার জানা যাচ্ছে, শুধু নাম ভাঁড়ানোই নয়, কলকাতা পুরসভার হলোগ্রামও ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেন করেছিলেন দেবাঞ্জন। একইসঙ্গে অনলাইন কেনাকাটায় কলকাতা পুরসভার জিএসটি নম্বর পর্যন্ত ব্যবহার করেছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দেবাঞ্জন দেবের পর্দা ফাঁস হতেই কলকাতার একের পর এক থানায় অভিযোগ দায়ের হতে শুরু করেছে। পুলিশের দাবি, এ যুবকের প্রতারণার জাল বহু দূর বিস্তৃত। যত সময় এগোবে তা আরও উন্মোচিত হবে। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভা, সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, বিধায়ক লাভলি মৈত্র, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক ব্যক্তি বা সংগঠনের তরফে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। একাধিক ব্যবসায়ীও ইতিমধ্যেই কসবা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় মৌখিকভাবে ট্যাংড়ার এক ব্যবসায়ী অভিযোগ জানান। কলকাতা পুরসভার কিছু কাগজপত্র দেখিয়ে বাইপাস সংলগ্ন একটি জায়গায় কমিউনিটি হল তৈরির নামে তাঁর কাছ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা আদায় করেন বলে অভিযোগ। তবে এখনও সেখানে কমিউনিটি হল তৈরি হয়নি।
আরও পড়ুন: ভুয়ো টিকাকাণ্ডে আটক আরও এক, পুলিশের জালে দেবাঞ্জন ঘনিষ্ঠ
পুলিশ জানতে পেরেছে, দেবাঞ্জন নিজের নাম লুকিয়ে সুশান্ত দাস হিসাবে পরিচয় দিয়ে টাকা তুলেছেন বাজারে। সকলকে বলেছেন, কলকাতা পুরসভার ডেপুটি ম্যানেজার তিনি। সেই নামে একাধিক চেকও সই করেছেন। পাশাপাশি ভুয়ো সংস্থা খুলে পুরসভার ডেপুটি ম্যানেজারের সই জাল করে তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে আর্থিক লেনদেনও করেছিলেন। এখন প্রশ্ন উঠছে সত্যিই কি হলোগ্রাম নকল করা যায়? নাকি তা চুরি করেছিলেন দেবাঞ্জন? যদি নকল করে থাকেন, তার মানে আরও বড় কোনও চাঁই দেবাঞ্জনের মাথার উপর রয়েছে। আর যদি দেবাঞ্জন চুরি করে থাকেন, তা হলে কী ভাবে তা তিনি ঘটালেন সেটাও তদন্ত সাপেক্ষ।