কলকাতা: ‘কোনও হস্টেলে থাকতে গেলে র্যাগিং-এর শিকার হতেই হয়!’ এবার এমনই যুক্তি শোনা গেল যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত দীপশেখরের বাবার মুখে। বলছেন, ‘হস্টেলে থাকে তাঁরা কি জানেন না, যে র্যাগিং ছাড়া কোনওদিন হয় না।’ যাদবপুরকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে ছেলে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ধৃত দীপশেখরের বাবা। ছেলেকে পড়াশোনার জন্য পাঠিয়েছিলেন যাদবপুরে। রাজ্যের অন্যতম পাঁচতারা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে গিয়ে যে ছেলে এমন একটা ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়বে, তা হয়ত কখনও ভাবতে পারেননি তিনি। কিন্তু তাই বলে এমন মন্তব্য করে বসলেন যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত দীপশেখরের বাবা? একজনের প্রাণ চলে গিয়েছে। তাঁর ছেলে অন্যতম অভিযুক্ত। আর তিনি বলছেন, ‘প্রাণ যদি কারও যায়, সেটা তো তাঁর ব্যাপার।’
দীপশেখরের বাবার বক্তব্য, তাঁর সন্তান র্যাগিং-এর সঙ্গে যুক্ত নয়। একইসঙ্গে র্যাগিং কালচার বন্ধ হওয়া উচিত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। তিনি অবশ্য বলেছেন, ‘বন্ধ হওয়া উচিত, কিন্তু কে করবে বন্ধ!’ উল্লেখ্য, যাদবপুরকাণ্ডে ইতিমধ্যেই ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে। একের পর এক গ্রেফতারি যখন থেকে হতে শুরু করেছে, তখন থেকেই অনেক অভিভাবকদের মুখেই শোনা গিয়েছে, তাঁদের সন্তান নির্দোষ। কোনও বাবা-মা হয়ত ভাবতে পারেন না, তাঁদের সন্তান এমন একটি ভয়ঙ্কর কাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে পারে। প্রশ্ন উঠছে, দীপশেখরের বাবা এদিন যা বললেন, তাতে কি একপ্রকার র্যাগিং-কালচারকেই সমর্থন করে ফেলছেন না তিনি? যদিও সেই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
এদিকে পুলিশ সূত্র মারফত খবর, বিবস্ত্র করেই ওই পড়ুয়াকে র্যাগিং করা হয়েছিল এবং তার প্রমাণ পুলিশের হাতে এসেছে। জানা যাচ্ছে, যাদবপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আলাদা করে র্যাগিং-এর ধারা যুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।