কলকাতা : সামনেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)। এখন থেকেই কোমর বেঁধে ভোট প্রচারে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী সবদলই। জোরকদমে চলছে প্রচারের কাজ। চলছে প্রার্থী নির্বাচনের কাজও। এরইমধ্যে এবার পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ে সময়সীমা বেঁধে দিল সিপিআইএম (CPIM)। ১৫ এপ্রিলের মধ্যে জেলা থেকে সব নাম রাজ্য স্তরে পাঠাতে হবে। জেলা নেতৃত্বের শীঘ্রই চলে যাবে এই নির্দেশ। সূত্রের খবর, প্রার্থী বাছাইয়ে প্রাধান্য পাবে ভাবমূর্তি। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদেরই এলাকায় প্রার্থী করা হবে। সঙ্গে গুরুত্ব পাবে লড়াকু মনোভাবের নেতারাও।
যেখানে প্রার্থী বাছাইয়ে সমস্যায় পড়বে সিপিআইএম সেখানে বৃহত্তর জোট করা যাবে বলে জানানো হয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। সেক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল ও গণতন্ত্রে আস্থাশীল দলগুলির সঙ্গে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এগোনো যাবে বলে রাজ্য স্তর থেকে যাচ্ছে নির্দেশ। তবে, বিজেপি আর তৃণমূলের থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বুধবার সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর বৈঠক ছিল। সেখানেই পঞ্চায়েত ভোট প্রস্তুতিতে এই সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
পঞ্চায়েত ভোটের রণকৌশল ঠিক করতে মাঠে নেমেছে ঘাসফুল শিবিরও। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থী খুঁজতে জোর দিয়েছে তৃণমূলও। কিছুদিন আগেই প্রার্থী নির্বাচনের জন্য হুগলিতে এক অভিনব কৌশল নিতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের শাসকদলকে। প্রার্থী বাছতে দলীয় কর্মীরাই নামলেন ভোটভুটিতে। সিঙ্গুর বিধানসভায় ১৬ টি পঞ্চায়েত রয়েছে। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত এলাকার প্রার্থী তালিকা তৈরির জন্য সম্প্রতি বৈঠকে বসেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। যে সমস্ত তৃণমূল নেতাদের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ভাল, যাদের এলাকায় জনপ্রিয়তা রয়েছে তাদেরই দেওয়া হবে টিকিট হবে বলে ঠিক হয় ওই বৈঠকে। তবে প্রার্থী বাছাইয়ে ছাকনি হবেন দলের কর্মীরাই। হবে ভোটাভুটি। ঠিক হয় বুথ সদস্যরা ব্যালটের মাধ্যমে পছন্দের ক্রমানুসারে ৩ জন প্রার্থীর নাম লিখে নির্দিষ্ট বক্সে জমা দেবেন ‘ব্যালট’ বক্সে। কিছুদিন আগে হয় সেই ভোটাভুটি। এবার প্রার্থী বাছাইয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে জোর সিপিএমেরও।