কলকাতা: ফের অগ্নিকাণ্ড শহরে। এবার কলকাতার চাঁদনি চক (Chandni Chowk) এলাকায় বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের একটি গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন (Fire) লাগে। রবিবার বিকালে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। কিন্তু, হাওয়ার ফলে আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আরও ৪টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। পরে দমকলের আরও কয়েকটি ইঞ্জিন আসে। ছুটির দিন হওয়ায় অনেক দোকানই বন্ধ ছিল। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় তুলনামূলক কম। তবে কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, হতাহতের কোনও খবর নেই। দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ চালাচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যা হতেই চাঁদনি চক এলাকায় বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের একটি গোডাউন থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। ঘটনাটি নজরে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা দমকলে খবর দেন। তারপর প্রথমে দমকলের ৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু, ঝিরঝিরে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় আগুনের লেলিহান শিখা আরও জ্বলে ওঠে। বেগতিক বুঝে দমকলের আরও ৪টি ঘটনাস্থলে যায় এবং দমকলকর্মীরা মুখে মাস্ক লাগিয়ে, মই বেয়ে উপরে উঠে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে আরও ৮টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
এদিন ছুটির দিন হওয়ায় দোকানের গোডাউনটি বন্ধ ছিল। ফলে ভিতরে কেউ ছিলেন না। তবে আগুনের শিখা যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে আশপাশের দোকান ও গোডাউনে আগুন লেগে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। আশপাশের বাড়ির লোকজনও বাইরে বেরিয়ে এসেছেন। আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। তারপর প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে দমকলকর্মীদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেন, “আগুন যতটুকু আছে সেটা আটক করা গিয়েছে। চারদিকটাই বন্ধ, ভিতরে ধোঁয়া আটকে আছে। ফলে বেরোতে সময় লাগবে। তবে এখনও গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ।”
এই নিয়ে এক সপ্তাহে দু-বার চাঁদনি চক এলাকায় অগ্নিকাণ্ড ঘটল। এপ্রসঙ্গে দমকলমন্ত্রী বলেন, “আগামিকাল ফরেন্সিক টিম আসবে তদন্ত হবে। ততক্ষণ বিল্ডিং- এ কাউকে যেতে দেওয়া হবে না। আমরা চাই লোকে ব্যবসা করুক, কিন্তু আপৎকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখেন না অনেকেই। ল্যাডারের ব্যবহার করা যায়নি। দমকল কর্মীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে ভিতরে প্রবেশ করতে। তার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা হয়।” প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা মেনে ব্যবসা চালানোর আবেদন জানান মন্ত্রী।