কলকাতা: ভবানীপুরে জোড়া খুনে (Bhawanipur Murder) বিগত কয়েকদিন ধরেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় শহর কলকাতায়। দিনেদুপুরে নৃশংস খুনের কিনারা করতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যায় পুলিশেরও। মৃত দম্পতির বাড়িতেও যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তদন্তের তদরকিতে মাঠে নামেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। অবশেষে বুধবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। খুনের কিনারা হতেই কলকাতা পুলিশের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
ভবানীপুর জোড়া খুনের কিনারা করায় কলকাতা পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করে ফিরহাদ বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম কলকাতা পুলিশ বেস্ট। আমি স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সাথে তুলনা করেছিলাম। কেসের কিনারা করে দেখাল পুলিশ। দ্রুততার সঙ্গেই তা করেছে।” এদিকে ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় ধৃতদের নাম প্রকাশ্যে এনেছে পুলিশ। রত্নাকর নাথ, সুবোধ সিংহ ও যতীন মেহতা নামে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। এদের মধ্যে একজন নিহত ব্যবসায়ী অশোক শাহর মেয়ের শ্বশুরবাড়ির পরিচিত ভলে জানা গিয়ছে। এদিকে এ ঘটনার পর ভবানীপুরের অকুস্থলে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমি অত্যন্ত শকড। শুধু আমি নই, হরিশ মুখার্জি রোড, মুক্তদল, কালীঘাট রোড, আমাদের পাড়া প্রতিবেশীরা সকলেই বিস্মিত। আমরা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। এটা অত্যন্ত শান্ত এলাকা। এর আগে এখানে কখনই এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। কাজেই পরিচিত লোকের কাজ ছাড়া এ কাজ কেউ কখনও করতে পারে না।” তবে ভরসা রাখেন পুলিশের উপর। পুলিশ যে তদন্তের জাল ধীরে ধীরে গোটাতে শুরু করেছে তারও ইঙ্গিত মেলে।
বুধবারই পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল আরও একবার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন এ খুনের নেপথ্যে হাত রয়েছে কোনও পরিচিত বা আত্মীয়দের। খুনের গতিপ্রকৃতি দেখে প্রাথমিক তদন্তেও এটাই মনে হয়েছিল পুলিশের। তবে কাদের হাত থাকতে পারে সে বিষয়ে কিছু খোলসা করা হয়নি। তবে ৩ জনের গ্রেফতারির পর পুলিশ কমিশনার জানান, এক জন আত্মীয় শাহ পরিবারর কাছ থেকে ২০১৯ সালে ১ লক্ষ টাকা ধার হিসেবে নিয়েছিলেন। কিন্তু, টাকা শোধ নিয়ে কিছু জটিলতা হয়। তার জেরেই এই খুন।