Firhad Hakim: সিপিএম-এর কেউ অসুস্থ হলে তাকে দৌড়ে হাসপাতালে ভর্তি করব: ফিরহাদ

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 26, 2023 | 3:37 PM

Firhad Hakim: ফাইল ঘেঁটে নথি হাতড়ে সিপিএমের আমলের নিয়োগে দুর্নীতির তথ্য জনসমক্ষে আনতে তৎপর তাঁরা। এই অধ্যায়েও আবার নয়া টুইস্ট! কারণ সিপিএম-কে বিঁধতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে আতান্তরে জড়ালেন শাসক নেতৃত্ব।

Firhad Hakim: সিপিএম-এর কেউ অসুস্থ হলে তাকে দৌড়ে হাসপাতালে ভর্তি করব: ফিরহাদ
ফিরহাদ হাকিম ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

Follow Us

কলকাতা: আদৌ কি নজর ঘোরানোর চেষ্টা? দুর্নীতি ইস্যুতে হঠাৎ করেই আগের পক্ষের সরকার সিপিএম-এর বিরুদ্ধে তেড়েফুঁড়ে উঠেছেন বর্তমান শাসক নেতৃত্ব। ফাইল ঘেঁটে নথি হাতড়ে সিপিএমের আমলের নিয়োগে দুর্নীতির তথ্য জনসমক্ষে আনতে তৎপর তাঁরা। এই অধ্যায়েও আবার নয়া টুইস্ট! কারণ সিপিএম-কে বিঁধতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে আতান্তরে জড়ালেন শাসক নেতৃত্ব। তৃণমূলের এক নেতা যখন সিপিএম-কে সামাজিক বয়কটের ডাক দিচ্ছেন, তখন অন্য নেতার স্পষ্ট বক্তব্য, দায়িত্ব বজায় রেখে লড়াই হোক রাজনীতির ময়দানে। বামেদের সঙ্গে না চলার পরামর্শ গিয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অথচ ফিরহাদ বললেন, “সিপিএম বাড়ির যদি কেউ অসুস্থ হয়, কাউন্সিলর, বিধায়ক হিসাবে আমার কর্তব্য দৌড়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা।” এক্ষেত্রেও বিবেকানন্দের বাণী স্মরণ করালেন তিনি। তাহলে বিরোধীদের বিঁধতেই কি তৃণমূলের অন্দরেই তৈরি হচ্ছে ভিন্ন মত? শুরু রাজনৈতিক চর্চা।

সিপিএমকে বিঁধে ঠিক কী বলেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক? তিনি বলেন,”২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরই নভেম্বর মাসে আমি একটা স্লোগান দিয়েছিলাম। সেই ক্যাপশনটা আজকে মানুষের কাছে খুব প্রযোজ্য। আমি বলেছিলাম, সিপিএমের সঙ্গে চলব না। তার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক তৈরি করব না। তারা কোনও বিয়েবাড়ি গেলে যাব না। তাদের সঙ্গে বাজারে চায়ের দোকানে গল্প করব না। আমি এগুলো মেনে চলেছি। আমি সিপিএমের সঙ্গে চলার পক্ষপাতী নই। ভয়ঙ্কর কীর্তিকলাপ করে গেছে।” তাঁর আরও বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সমস্ত দফতরে তদন্ত করান তাহলে সিপিএমের নেতাদের অবস্থা খুব শোচনীয় হবে।

কিন্তু রাজনৈতিকভাবে দলেরই নেতার এই বক্তব্যকে সমর্থন করছেন না মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁকে এ প্রসঙ্গেই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সিপিএম বাড়ির যদি কেউ অসুস্থ হয়, কাউন্সিলর, বিধায়ক হিসাবে আমার কর্তব্য দৌড়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা। সিপিএমের পরিবারের কেউ মারা গেলে তার সঙ্গে শ্মশানে যাওয়া আমার মানবিক কর্তব্য। সামাজিকভাবে বয়কট এসব সিপিএম-রা করত। আমরা এসবে বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি বিবেকানন্দের কথায়, সবার ওপরে মানুষ সত্য তাহার ওপরে নাই।”

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও ‘চিরকুটে চাকরি’ ইস্যুতেও দলের অন্যান্য নেতা ব্রাত্য-কুণালদের মতের বিরুদ্ধেই অবস্থান করতে দেখা গিয়েছিল ফিরহাদকে। সিপিএমকে বিঁধতে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ‘চিরকুটে চাকরি’র তত্ত্ব খাঁড়া করেন ব্রাত্য়-কুণালরা। সেখানেও ফিরহাদ বলেছিলেন, চিরকুটে কোনওদিন কাউকে চাকরি দেওয়া যায় না।

Next Article