কলকাতা: রাজ্য মন্ত্রিসভায় গুরুত্ব বাড়ল ফিরহাদ হাকিমের। পরিবহণ এবং আবাসন দফতরের পাশাপাশি দেওয়া হল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরও। তৃতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সরকারে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর ছিল চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর হাতছাড়া হলেও অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হলেন চন্দ্রিমা। অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
এছাড়া দলেও গুরুত্ব বেড়েছে ফিরহাদের। দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে রাখা হয়েছে ফিরহাদ, রয়েছেন চন্দ্রিমাও। দল বিরোধী কাজ করলে সাসপেন্ড করা হবে সদস্যকে। তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে ঘোষণা করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এদিনে ফিরহাদের দফতর ফিরে পাওয়ার বিষয়টি অন্য আরেকটি দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় আরও একবার ভালো করে বুঝিয়ে দিলেন, দলে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি আর কার্যকরী নয়।
প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনে ল্যান্ড স্লাইড ভিক্ট্রির পর তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে অভিষেককে পার্টির সাধারণ সম্পাদক করেন মমতা। সঙ্গে ঘোষণা করেন এক ব্যক্তি এক পদ নীতি কার্যকর করার কথা। কিন্তু কলকাতার নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরই দেখা গেল সেই নিয়ম কার্যকর হয়নি। ভিতরে ভিতরে বাড়তে থাকে ক্ষোভ। এক ব্যক্তি এক পদ নীতি কার্যকর করতে পারেনি তৃণমূল। কিন্তু এই নীতির পক্ষে সওয়াল করেন অভিষেক। এক ব্যক্তি এক পদ নীতি নিয়ে তৃণমূল যুব নেতারা সামাজিক মাধ্যমে সোচ্চারও হন।
প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিমও। ফিরহাদ হাকিমকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সভানেত্রীর সিদ্ধান্তই আমাদের দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এটাই সর্বধার্য। আমাদের নেত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন, দলে সেই সিদ্ধান্তই হবে। দলে আমরা সেই প্রতিশ্রুতিও নিয়েছিলাম।” মাস খানেক আগে ফিরহাদ হাকিমের সেই বক্তব্যের আরও একবার প্রমাণ মিলল এদিন। দলের বর্যীয়ান নেতার কাঁধে আরও দায়িত্ব তুলে দিলেন নেত্রী।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee in Goa: কংগ্রেসের ‘স্বাগত’ বার্তার পরই গোয়া সফরে অভিষেক, তুঙ্গে জল্পনা