কলকাতা: “সামাজিক সম্মান নিয়ে টানাটানি করে ইডি।” সাংবাদিক বৈঠক করে বললেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রশ্ন হচ্ছে, তবে কি ফিরহাদের গলায় এবার উদ্বেগের ছায়া? প্রসঙ্গত, অতিরিক্ত সম্পত্তি থাকার অভিযোগে ফিরহাদ-সহ ১৯ জন নেতামন্ত্রীর নামে ইডিকে পার্টি করে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরইমধ্যে এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ আর গরু পাচার মামলায় এখন সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত। এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিক বৈঠক করে ফিরহাদ বললেন, “তদন্তে কোনও ভয় পাচ্ছি না। সবারই তো সামাজিক সম্মান রয়েছে। সেই সামাজিক সম্মান নিয়ে টানাটানি করলে সবার ভয় লাগে। জেলে থাকতে ভয় নেই। বাংলার অনেক নেতাই জেলে ছিলেন। কিন্তু সামাজিক সম্মান যেভাবে রাস্তায় টেনে নামায়, যে ভাবে কিছু কিছু মিডিয়া ক্যাঙ্গারু কোর্ট বসিয়ে দেয়(যেটা দেশের চিফ জাস্টিস বলেছেন, আমার কথা নয়), সম্মানটা যাওয়ার ভয় সবার থাকে।”
পার্থ-অনুব্রতর ইস্যুর পর শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে একাধিক মন্ত্রী-বিধায়কের সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলা। ২০১৭ সালে দায়ের হয়েছিল এই জনস্বার্থ মামলা। এই মামলায় ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং অরূপ রায়। শনিবার তার প্রেক্ষিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন ফিরহাদ-সহ তৃণমূল নেতা। ফিরহাদ বললেন, “জেলে যেতে ভয় নেই, সামাজিক সম্মান হারানোর ভয় রয়েছে।”
প্রশ্ন হচ্ছে, এরপর কি তিনিও কোনও বিপদের আশঙ্কা করছেন? এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। বিঁধছেন বিরোধীরাও। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “তিনি নিজের মত পোষণ করতেই পারেন। রাজনৈতিক বক্তব্য রাখতেন পারেন, বিরোধিতাও করতে পারেন। এই মুহূর্তে বাংলায় যে রাজনৈতিক অবস্থা, তা কোনও দলের ওপর নির্ভরশীল নয়। কেউ কারোর বিরুদ্ধে কোনও তদন্তের নির্দেশ দেয়নি। এই মামলাটি কে করেছেন? সেটা সবাই জানে। যাঁরা একবার বললেন, আমরা সবাই চোর, তাঁরাই আমার সাংবাদিক সম্মেলন করে বললেন, আমরা সবাই চোর নই, কেউ কেউ চোর।”