কলকাতা: ‘ছেলেদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার যা বানানোর বানান, হিন্দু বাড়িতে ধারাল অস্ত্র রাখুন!’ এমনই নিদান দিতে শোনা গেল কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজনুদার। যা নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে। সোচ্চার হয়েছেন শাসক দলের মন্ত্রী-বিধায়করা। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “প্রথমে আপনারা ভারতীয় তৈরি করুন। মানুষ তৈরি করুন। এই বার্তা আসা উচিত। আমরা ভারতের মানুষ বিশ্বাস করি সর্ব ধর্ম সমন্বয়।”
হুগলির কুন্তিঘাটে রামমন্দির উদ্বোধনের একটি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ছেলেকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার যা বানানোর বানান, ভাল হিন্দু বানান সবার আগে, যে নিজের ধর্মের প্রতি সমর্পিত হবে। বাড়িতে একটা করে ধারাল অস্ত্র রাখুন। আপনার ছেলে যদি ধর্ম সংস্কৃতি রক্ষা করতে না পারে. ডাক্তার হোক, অধ্যাপক হোক, যাই হোক, ফুটে যাবে, দুপয়সা দাম থাকবে না তাঁর। উদ্বাস্তু হয়ে অন্য কোথাও চলে যেতে হবে। এখনও সময় রয়েছে, নিজের ধর্ম রক্ষার অধিকার সবার আছে। ”
সুকান্ত মজুমদার, যিনি একজন সাংসদই নন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, তাঁর মুখে এই ধরনের মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। যদিও সুকান্ত দাবি, ধর্মরক্ষার স্বার্থেই তিনি এই বার্তা দিয়েছেন। সুকান্তর পাল্টা ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে সেকথা বলা উচিত নয়। হিন্দু না মুসলমান জিজ্ঞাসে ক’জন? প্রথমে আপনারা ভারতীয় তৈরি করুন। মানুষ তৈরি করুন। এই বার্তা আসা উচিত। আমরা ভারতের মানুষ বিশ্বাস করি সর্ব ধর্ম সমন্বয়।” তিনি বলেন, “হিন্দু যাঁরা প্রকৃত, ঠাকুর রামকৃষ্ণ বলে গিয়েছেন, যত মত, তত পথ। তাঁর বার্তা ভারতের বার্তা। সুকান্তবাবুর বার্তা, ভগবতের বার্তাই ভারতের বার্তা নয়। ধর্মের উস্কানি দিয়ে প্রকৃত নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে। এই চিড়েতে ভারতবাসী ভিজবে না।” প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু মন্তব্যের জেরে ঘরে বাইরে বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল ফিরহাদ হাকিমকে।