হাওড়া: কেউ যদি সত্যিই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নামে তর্পণ করে থাকেন তাহলে তিনি অন্যায় করেছেন। দল এ ধরনের ছ্যাবলামোকে কখনওই সমর্থন করে না। সোমবার হাওড়া পুরসভায় কয়েকটি সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে গিয়ে এমনটাই বললেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
সোমবার মহালয়ার সকালে বাবুঘাটে তর্পণ করেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের ছবিতে মালা দিয়ে তর্পণ করতে দেখা যায় তাঁকে। সেই ঘটনায় রাজনৈতিক বিতর্কের সূত্রপাত হয়। ইতিমধ্যে মদন মিত্রের বিরুদ্ধে একটি এফআইআরও দায়ের হয়েছে। সেই আবহেই ফিরহাদ হাকিম দাবি করলেন, দল মদন মিত্রের এই কাজকে সমর্থন করে না।
এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, দিলীপ ঘোষ বা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক মত পার্থক্য আছে। কিন্তু আমরা সকলেরই দীর্ঘজীবন কামনা করি। জীবিত মানুষের নামে তর্পণ হয় না। এটা যদি কেউ করে থাকেন তাহলে অন্যায় করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস এ ধরনের ছ্যাবলামো পছন্দ করে না।
সোমবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বালি থানায় দলের তরফে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপির বালি ১ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি ইন্দ্রনীল দাশগুপ্ত। বিজেপির অভিযোগ, এই কাজ করে তৃণমূল বিধায়ক বিজেপির দুই দুই নেতাকে মানসিকভাবে আঘাত করেছেন। জীবিতদের মৃত বানিয়ে মানসিক আঘাত করেছেন। পাশাপাশি হিন্দু ধর্মকেও অপমান করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মদনের বিরুদ্ধে। হাওড়া সদরের বিজেপি নেতা রাজা দাস জানিয়েছেন, জীবিত মানুষের নামে তর্পণ করে তাঁদের অপমান করা হয়েছে ও হিন্দু ধর্মকে অসম্মান করা হয়েছে। তাই দলের তরফে বালি থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার তর্পণের পর মদন বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির যে অপমৃত্যু ঘটতে চলেছে তারপর ওদের তর্পণ করার মতো আর লোক পাওয়া যাবে না। আগাম আমি বিজেপির রাজনৈতিক অপমৃত্যুর তর্পণ করে গেলাম। যদিও ওইভাবে ছবিতে মালা দেওয়ার ঘটনার বিরোধিতা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও।