কলকাতা : শুক্রবার সাত সকালে দুই মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। নাকতলায় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি ও মেখলিগঞ্জে পরেশ অধিকারীর বাড়িতে যান ইডি আধিকারিকরা। এই ঘটনাকে নিছক তদন্ত বলে মানছেন না রাজ্যর অপর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দাবি, এটা আসলে প্রতিহিংসা। শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে যেহেতু তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে আক্রমণ করেছে, তাই তারই বদলা নিতে এ ভাবে ইডি তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ফিরহাদ।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই সিবিআই তদন্ত চলছে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়। এ দিন ফিরহাদ প্রশ্ন তোলেন, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত, তাহলে কেন পাঠানো হচ্ছে ইডি? জোর করে আর্থিক তছরূপের মামলা করে ইডি-কে দিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ফিরহাদ বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশ আছে ঠিকই, তবে কেন্দ্রীয় সরকার সেটা অপব্যবহার করছে। মানুষকে হেনস্থা করছে।’ তাঁর দাবি, আগে ইডি এ ভাবে তদন্ত করত না। বিজেপি আসার পর এ সব শুরু হয়েছে। বিজেপি ইডি-কে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
২১ জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চেও তৃণমূল সুপ্রিমো ইডি-সিবিআই প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। গতকাল আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে অ্যাটাক করেছি, ২৪-এ চলে যেতে বলেছি। কাল থেকেই আমাদের লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই আজ থেকে প্রতিহিংসা শুরু হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ইডি বা সিবিআই তদন্তের প্রসঙ্গ বৃহস্পতিবার শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকেও উল্লেখ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি বা সিবিআই এলে যাতে কেউ ভয় না পায়, পিছিয়ে না যায়, সেই সাহস জোগানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। মমতা বলেন, সিবিআই এলে বলবেন আসুন, বসুন। আসন পেতে দেবেন। সামনে গ্যাস সিলিন্ডার রেখে দেবেন।। মুড়ি খেতে দেবেন।
মমতা এই বার্তা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের অন্তত ১০ টি জায়গায় শুরু হয়েছে ইডি তল্লাশি। শুধু দুই মন্ত্রীই নয়, এসএসসি বা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন কর্তাদের বাড়িতেও গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।