কলকাতা : তাপপ্রবাহে পুড়ছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। বৃষ্টির আশায় আকাশের দিকে তাকিয়ে বঙ্গের মানুষ। গরম বাড়তেই বেড়েছে জলের চাহিদা। কিন্তু এদিকে বিভিন্ন এলাকায় নিচে নামছে ভূর্গভস্থ জলের স্তর। রাজ্য় জুড়ে জল অপচয়ের ছবিও চোখে পড়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জলের সংকটও দেখা দিচ্ছে। জলের জন্য হাহাকারের ছবি ফুটে উঠেছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে জল সংকটের বিষয় মানতে নারাজ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন যে, রাজ্য জুড়ে কোনও জল সংকট নেই। যেখানে জলের প্রয়োজন হচ্ছে গাড়ি পাঠিয়ে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ এদিন বলেছেন, যে গরম পড়লে একটু জলের চাহিদা বাড়ে। যাঁরা একবার স্নান করতেন তাঁরা এখন তিনবার স্নান করছেন। কিন্তু মানুষের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে জলের উৎপাদন তো করা সম্ভব নয়। তিনি জানিয়েছেন যে, গঙ্গার জলের স্তর কমে যাবে সেক্ষেত্রে। ভূর্গভস্থ জলের স্তরও কমছে। তিনি এদিন বলেছেন, “এই ১৫ দিন একটু অসুবিধা থাকে। তারপর ঠিক হয়ে যাবে। বৃষ্টিটা শুরু হলে জলের চাহিদাটা কমে যাবে। প্রতিবারই ১৫-২০ দিনের জন্য এই সমস্যাটা হয়।” তাঁর আরও সংযোজন, “গ্রামাঞ্চলে যেখানে লোকসংখ্যা বেশি। জলের অল্প সংকট দেখা যাচ্ছে যেসব জায়গায় সেখানে আমরা গাড়ি দিয়ে জল পাঠাচ্ছি। সেরকম জল সংকট নেই।” তিনি জানিয়েছেন যে, যতটা সম্ভব সব জায়গায় জল পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীও আমাদের সব ডিপার্টমেন্টকে নিয়ে বৈঠক করেছেন যাতে আমরা সক্রিয়ভাবে এদিকে নজর দিই। আমরা এদিন সকালেই এমইডি ও আমাদের ডিপার্টমেন্টকে বলে দিয়েছি সব জায়গার উৎসকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়।”
তিনি এদিন জানিয়েছেন গড়িয়া এলাকাতে জল প্রকল্প শীঘ্রই শুরু হবে। সরকারি ইতিমধ্যেই তাতে অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে। হয়ত পুজোর পরে কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে আশ্বাস ফিরহাদের। তিনি বলেছেন, “গড়িয়া এলাকায় জল তো এখনও পৌঁছাচ্ছে। ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য আমরা এই এলাকায় জলের প্রকল্প করছি। ”