Election in Bhangar: দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম ভোট, ‘অশান্ত’ ভাঙড়কে কতটা শান্ত করতে পারছে কলকাতা পুলিশ?

Susovan Bhattacharya | Edited By: জয়দীপ দাস

May 16, 2024 | 11:59 PM

Election in Bhangar: যাদবপুর লোকসভার অন্তর্গত ভাঙড়। এই বছর কলকাতা পুলিশ সেই ভাঙড় নিজের হাতে পেয়ে কড়া নজরদারি শুরু করে দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর এখনও পর্যন্ত দশ দিনে ৮৬ বোমা সহ গ্রেফতার হয়েছেন ২৭ জন।

Election in Bhangar: দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম ভোট, ‘অশান্ত’ ভাঙড়কে কতটা শান্ত করতে পারছে কলকাতা পুলিশ?
কলকাতা পুলিশ
Image Credit source: Facebook

Follow Us

কলকাতা: নতুন বছরের শুরু থেকে ভাঙড়ের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। মোট ৮টি থানা ও একটি ট্র্যাফিক গার্ড নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন ‘ভাঙড় ডিভিশন।’ ৮ জানুয়ারি থেকে ভাঙড়ের ডিসি অফিস, ভাঙড় ট্র্যাফিক গার্ড ও কলকাতা পুলিশের অধীন নতুন চারটি থানার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে বিগত কয়েক বছরের ছবিটা যদি দেখা যায় তাহলে দেখা যাবে নির্বাচন শুরু হতে না হতেই তপ্ত হয়েছে এই ভাঙড়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ঝরেছে রক্ত। মৃত্যুর খবরও সামনে এসেছে। এদিকে ভাঙড় কলকাতা পুলিশের আওতায় আসার পরে প্রথম নির্বাচন হতে চলেছে সেখানে। তাই ‘অশান্ত’ ভাঙড়কে ভোটে শান্ত রাখাই এখন কলকতা পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশ। 

যাদবপুর লোকসভার অন্তর্গত ভাঙড়। এই বছর কলকাতা পুলিশ সেই ভাঙড় নিজের হাতে পেয়ে কড়া নজরদারি শুরু করে দিয়েছে।  পুলিশ সূত্রে খবর এখনও পর্যন্ত দশ দিনে  ৮৬ বোমা সহ গ্রেফতার হয়েছেন ২৭ জন। এই পরিসংখ্যান লালবাজারের তথ্য অনুযায়ী ১ ডিসেম্বর থেকে ১৩ মে পর্যন্ত। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে ৩২ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৭ টি কার্তুজ। গত দশ দিনে গ্রেফতার ২৭ জন। ১০১৭২ জনের বিরুদ্ধে  জামিন অযোগ্য গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে।

প্রসঙ্গত, এবার যাদবপুর থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন সায়নী ঘোষ। অন্যদিকে তাঁকে কড়া টক্কর দিতে ময়দানে নেমেছেন বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। কিন্তু, তাই বলে আইএসএফের কথা ভুলে গেলে চলবে কী? শেষ পঞ্চায়েত ভোটে নওশাদ শিবিরের লোকজনের সঙ্গেই তৃণমূলের বেনজির সংঘর্ষের ছবি দেখা গিয়েছিল। সময়টা ছিল একুশের বিধানসভা নির্বাচনের কয়ের মাস আগে। বাংলার বুকে মাথাচাড়া দিয়েছিল নতুন এক দল। ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। বাম কংগ্রসের সঙ্গে জোট বেঁধে হয়েছিল লড়াই। তৈরি হয়েছিল সংযুক্ত মোর্চা। বাম, কংগ্রেস, ধারে ভারে আইএসএফের থেকে বড় দল হলেও  মোর্চার মুখ রেখেছিল কিন্তু আইএসএফ-ই। ভাঙড় থেকে জিতেছিলেন নওশাদ সিদ্দিকী। তিনিই এখন দলের চেয়ারম্যান। বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায় বহুল চর্চিত নাম। বিধানসভা ভোট গিয়েছে। এবার লোকসভা। বাম-কংগ্রেসের হাত ধরেনি আইএসএফ। বিগত কয়েকদিনে ভাঙড়ে লাগাতার আইএসএফ-তৃণমূল ঝামেলার ছবিও সামনে এসেছে। দিন পনেরো পরেই ভোট। এখন দেখার ভোটের আগে ভাঙড়কে কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে কলকাতা পুলিশ। 

Next Article