বাংলাদেশ: পদ্মাপাড়ে অশান্তি অব্যাহত। চলছে সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার। অনেকেই ভারতে চলে আসার চেষ্টা করছেন। সীমান্ত বন্ধ করার অর্থাৎ ভারতে রফতানি বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে লাগাতার চলছে ভারত বিদ্বেষী মন্তব্য। বাংলাদেশের নাগরিক এবং বিএনপি নেতাদের একাংশ, এমনকী প্রাক্তন সেনাকর্তাও নানা হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তবে আমদানি বন্ধ হলে যে ভারতের কিছু যাবে-আসবে না, সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
ভারত থেকে চাল, আলু, পেঁয়াজ সহ নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে কয়েকটি মাত্র পণ্য। তার মধ্যে অন্য়তম ইলিশ মাছ। পদ্মার ইলিশ বন্ধ করে কী প্রভাব পড়বে বাজারে? পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা স্পষ্ট বলছেন, লাগবে না বাংলাদেশের মাছ।
‘ইন্দো বাংলা হিলশা এক্সপোর্ট ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি অতুল চন্দ্র দাসের সাফ কথা, “করুক বর্ডার সিল। আমাদের কিচ্ছু যায় আসে না। আমাদের দেশে পর্যাপ্ত মাছ উৎপাদন হয়। অনেক বড় বড় কথা শুনেছি। আর নয়। এবার বন্ধ হোক বাংলাদেশি মাছের আমদানি।”
বাংলাদেশ থেকে ইলিশ ছাড়াও ভারতে আসে পাবদা, পারশে, ট্যাংরা, ভেটকি। দৈনিক ১৮ থেকে ২০ মেট্রিক টন মাছ আসে ভারতে। আর তার থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করেন বাংলাদেশের মাছ ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে, ভারত থেকে বাংলাদেশে যায় রুই, কাতলা, বোয়াল ও বেশ কিছু সামুদ্রিক মাছ। বর্ডার সিল হলে বাংলাদেশেরই আর্থিক ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। অতুল চন্দ্র দাস বলেন, “বর্ডার সিল করুক। কিছু যায় আসে না। আমরা মায়ানমার থেকেও অনেক ইলিশ আমদানি করি। আর বাংলায় যা মাছ আছে, তাতেই হয়ে যাবে। আমদানি করার খরচও বাঁচবে। বরং আমরা রফতানি বন্ধ করলে বাংলাদেশের অবস্থা সাতদিনেই খারাপ হয়ে যাবে।” তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, মাছ বিক্রি করেই বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে বাংলাদেশ।