Woman Security: নারী-নিরাপত্তায় বড় ঘোষণা, ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প ঘোষণা রাজ্যের

সৌরভ গুহ | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 17, 2024 | 7:25 PM

Rattirer Sathi: আরজি করের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই আবহে রাজ্যের নতুন কর্মসূচি। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, একাধিক দফতরের উদ্যোগেই রাত্তিরের সাথী প্রকল্প চলবে। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে চলবে পুলিশ পেট্রলিং।

Woman Security: নারী-নিরাপত্তায় বড় ঘোষণা, রাত্তিরের সাথী প্রকল্প ঘোষণা রাজ্যের
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: রাতে মহিলা নিরাপত্তার জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ সরকারের। মহিলা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় বিশেষ কর্মসূচি চালু করল রাজ্য। যারা নাইটশিফটে কাজ করেন, তাঁদের জন্য এই বিশেষ কর্মসূচি। নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাত্তিরের সাথী। আরজি করের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই আবহে হাসপাতালে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা হল শনিবার।

মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য পরামর্শদাতা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, একাধিক দফতরের উদ্যোগেই রাত্তিরের সাথী প্রকল্প চলবে। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে চলবে পুলিশ পেট্রলিং। মহিলা চিকিৎসক ও নার্সদের ১২ ঘণ্টার বেশি যেন ডিউটি শিডিউল না হয় তাও দেখা হবে। পাশাপাশি মহিলা চিকিৎসকদের নাইট ডিউটি যতটা কম দেওয়া যায় বা না দেওয়া হয় তাও দেখা হবে।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

রাত্তিরের সাথী নামে মহিলা বান্ধব সিকিউরিটি ফোর্স রাখা হবে হাসপাতালে। মহিলাদের জন্য আলাদা রেস্ট রুম ও টয়লেটের ব্যবস্থা করা হবে। সেফ জ়োন তৈরি করে সিসিটিভি দিয়ে তা মুড়ে ফেলবে রাজ্য। স্থানীয় থানা কিংবা পুলিশ কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে বিশেষ মোবাইল ফোন অ্যাপের যোগ থাকবে। সমস্ত কর্মরত মহিলার ফোনে ওই অ্যাপ ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলক করা হবে।

যে কোনও এমার্জেন্সি বা প্যানিক সিচুয়েশন হলে হেল্পলাইন নম্বর ১০০ বা ১১২ ব্যবহার করতে হবে। মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, জেলা হাসপাতালগুলিতে সিকিউরিটি চেক, ব্রেথালাইজার টেস্টের ব্যবস্থা থাকবে। বিশাখা কমিটি যদি কোথাও না হয়ে থাকে তা থাকতেই হবে। বেসরকারি সংগঠনগুলিকেও সরকারের এই গাইডলাইন মেনে চলার আবেদন করছে রাজ্য। সমস্ত জেলাতেও এই কর্মসূচি গৃহীত হবে। এই কর্মসূচি অনুযায়ী, যখন রাতের ডিউটিতে থাকবেন, একসঙ্গে যাতে দু’জন মহিলা কাজ করেন বা টিমে কাজ করেন, তাতে জোর দেওয়া হবে। নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের ক্ষেত্রেও পুরুষ-নারীর সমানুপাতে নজর রাখবে রাজ্য।

Next Article