কলকাতা: এক সময় ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন সিপিএমের ফৈয়জ আহমেদ খান। ছিলেন কলকাতা পুরনিগমের মেয়র পারিষদও। যদিও এখন সেই ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি শামস ইকবাল। তৃণমূলের মুখ তিনি। শোনা যায়, শামসের সঙ্গে তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের যথেষ্ট ভাল সম্পর্ক। কাউন্সিলর হতে না হতেই শামসও হয়ে ওঠেন যথেষ্ট ‘প্রভাবশালী’। ফৈয়জ আহমেদ খানের অভিযোগ, শামস একমাত্র কাউন্সিলর, যিনি অডি গাড়ি নিয়ে পুরসভায় যান। কী করে একজন কাউন্সিলরের এত পয়সা হতে পারে, প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন কাউন্সিলর?
রবিবার গভীর রাতে গার্ডেনরিচের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বহুতল ভেঙে পড়ে। এখনও অবধি ৯ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। আহত বহু। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম কার্যত মেনে নিয়েছেন, এই নির্মাণ বেআইনিভাবে হচ্ছিল। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “বাম আমল থেকে বেশ কিছু অঞ্চলে এটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এখন সেটাতে রাশ টেনেছি। সবরকম চেষ্টা করেছি। তারপরও কোন গলিতে কে বেআইনি কী করছে আমাদের পক্ষে জানাটা মুশকিল।”
ফৈয়জ আহমেদ খানের বক্তব্য, “আইনি বাড়ি তো এখানে খুঁজেই পাওয়া যাবে না। সবটাই বেআইনি। গোটা কলকাতাজুড়ে এই ছবি। কোনও এলাকা, ওয়ার্ড বাদ দেওয়া যাবে না যেখানে বেআইনি নির্মাণ নেই। একটু জায়গা পেলেই প্রোমোটাররা নির্মাণ করছে। পুকুর ভরাটও করে ফেলে। আজ যে বাড়িটা পড়ে গিয়েছে, সেখানে একটা ছোট পুকুর ছিল। সেটাই ভরাট করে বাড়ি করেছে।”
যদিও গার্ডেনরিচের ঘটনার পর শামস ইকবাল দাবি করেন, ওয়ার্ডে তাঁর অনেক কাজ থাকে। রাস্তা খারাপ, জল আসছে না এগুলি তাঁকে দেখতে হয়। কে অবৈধ বাড়ি করছে আর কে বৈধ বাড়ি করছে সেটা দেখার কাজ তাঁর নয়। তবে ফৈয়জ আহমেদের বক্তব্য, “পুরসভায় অডি গাড়ি নিয়ে একমাত্র কাউন্সিলর ঢুকেছিলেন। কোথা থেকে এত টাকা আসে? একজন কাউন্সিলর, তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এত টাকা আসে কোথা থেকে? এ জন্যই তৃণমূলের নেতাদের বাড়ি থেকে টাকা বেরোয়। আর সাধারণ মানুষের থাকার জায়গা নেই।”