Former PP: কেন পদত্যাগ করেছিলেন? এবার বিস্ফোরক প্রাক্তন পিপি শাশ্বত গোপাল
Calcutta High Court: শাশ্বত গোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমি ২০১৭ সালে আসি। তখন একটা প্যানেল পেয়েছিলাম। তারপর অনেকেই অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন বা বাদ গিয়েছেন। কোনও ব্যাপারেই আমার কোনও পরামর্শ নেওয়া হয়নি। আমি পদে আছি, আমার আওতায় ওনারা কাজ করবেন। রাজ্য সরকার সেভাবেই তাঁদের এনেছেন। তবে এখানে আমার মতামত নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে আমার ক্ষোভের জায়গাই নেই।"
কলকাতা: পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে টিভিনাইন বাংলায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেন প্রাক্তন এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। খোলসা করেন কেন তিনি তড়িঘড়ি বিদেশ থেকেই ইমেল মারফত পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন। জানান, আত্মসম্মান নিয়ে থাকা যাচ্ছিল না বলেই এই সিদ্ধান্ত। এবার পদত্যাগ নিয়ে মুখ খুললেন সদ্য প্রাক্তন পাবলিক প্রসিকিউটর বা পিপি-এর। সদ্য প্রাক্তন পিপি শাশ্বত গোপাল মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, মামলার খারাপ ফলের জন্য আঙুল উঠেছিল আইনজীবীদের দিকে। তাই তিনি মনে করেন, পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর এটাই সঠিক সময়। প্যানেল তৈরিতে তাঁর সুপারিশ মানা হয়নি বলেও জানান শাশ্বত। হাইকোর্টে কোনওদিন প্র্যাক্টিস না করেও কিছু আইনজীবী হস্তক্ষেপ করেন বলেও জানান তিনি।
পাবলিক প্রসিকিউটর বা পিপি আসলে সরকারি আইনজীবী। ২০১৭ সাল থেকে কলকাতা হাইকোর্টের পিপি হিসাবে ছিলেন শাশ্বত গোপাল মুখোপাধ্যায়। ৬ বছর ১১ মাস তিনি এই পদে থেকেছেন। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সরকারপক্ষের হয়ে সওয়াল করেছেন তিনি। সওয়াল করেছেন রাজ্যের শাসকদলের প্রথম সারির নেতাদের হয়েও। চলতি মাসেই পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তাঁর সরে যাওয়া নিয়ে নানা মহলে জোর চর্চা শুরু হয়। এবার পদত্যাগ নিয়ে মুখ খুললেন তিনিও।
শাশ্বত গোপাল মুখোপাধ্যায় জানান, কোনও চাপের কাছে তিনি মাথা নত করেছেন এমন কথা ঠিক নয়। প্রায় ৭ বছর হাইকোর্টে পাবলিক প্রসিকিউটরের ভূমিকা পালন করেছেন। এই সময়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে সবরকম সহযোগিতাও পেয়েছেন। তবে শাশ্বতবাবুর কথায়, “একটা কথা ভাসানো হচ্ছে শুনেছিলাম। সমস্ত রাজ্যের মামলার ব্যর্থতার দায় নিতে হবে। সমস্ত সরকারি উকিল রয়েছেন। এজি, পিপিদের হয়ত সরকার অন্যরকমভাবে ভাবনাচিন্তা করছে। তখনই মনে হয়েছিল এটা সঠিক সময়।”
তবে প্যানেল তৈরিতে তাঁর কোনও মতামত নেওয়া হয়নি বলেই দাবি প্রাক্তন পিপির। শাশ্বত গোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি ২০১৭ সালে আসি। তখন একটা প্যানেল পেয়েছিলাম। তারপর অনেকেই অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন বা বাদ গিয়েছেন। কোনও ব্যাপারেই আমার কোনও পরামর্শ নেওয়া হয়নি। আমি পদে আছি, আমার আওতায় ওঁরা কাজ করবেন। রাজ্য সরকার সেভাবেই তাঁদের এনেছেন। তবে এখানে আমার মতামত নেওয়া হয়নি। তবে এ নিয়ে আমার ক্ষোভের জায়গাই নেই। কারণ, ভাল ট্যালেন্ট উঠে আসবে, এটাই শেষ কথা। তবে কিছু আইনজীবী আছেন, যাঁরা হাইকোর্টের আইনজীবী, তবে সেখানে কোনওদিন প্র্যাকটিসই করেননি। অথচ তাঁদের কিছু কিছু হস্তক্ষেপ পেয়েছি। সেই ইন্টারফেয়ারেন্সগুলো পেয়েছি। কিন্তু সেগুলি নিয়েই কাজ করতে হবে।”