কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বামেরা বেশ কিছু ক্ষেত্রে স্ট্র্যাটেজি বদলেছিল। পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিকে সঙ্গে নিয়ে চমক দিয়েছিল বামফ্রন্ট। প্রার্থী হিসেবে ময়দানে নামানো হয়েছিল ইয়ং ব্রিগেডকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল সব কৌশলই ব্যর্থ। নজিরবিহীন ভাবে বিধানসভায় আসন শূন্য হয়েছে বামফ্রন্ট। আর সেই ব্যর্থতার কারণ পর্যালোচনার পর্বেই একের পর এক তোপ দাগল বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। শুধু মুখে নয়, লিখিতভাবে শরিক সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবে তারা। সিপিএমও জবাব দেবে লিখিত আকারেই। বাংলায় বামফ্রন্টের ইতিহাসে এমনটা কখনও ঘটেনি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই বিষয়ে আগামিকাল, শনিবার বৈঠকও হবে শরিকদের মধ্যে।
সিপিএমের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ রয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকের?
১. কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে জোট নিয়ে সিপিএম একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২. সিপিএমের দাদাগিরি মনোভাব এখনও অব্যাহত রয়েছে।
৩. জোটের বিপর্যয়ের মূল কারণই হল সিপিএম।
৪. আসন ভাগাভাগির সময় শরিকদের অন্ধকারে রাখা হয়েছিল।
৫. ঐক্য না থাকলে ফ্রন্টের দরকার নেই।
আরও পড়ুন: মহামারীতে নিয়মে বদল, ভোটপ্রার্থীদের খরচের খতিয়ান সই হচ্ছে অনলাইনে
এই প্রসঙ্গে, ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আবারও আলোচনা হবে। তবে বাম ঐক্য ভাঙার কথা আমরা কখনও বলিনি। আমরা বলেছি প্রথমে কংগ্রেস ও পরে আইএসএফের সঙ্গে জোট করা হয়েছে। পরপর দু’বারই ভরাডুবি হয়েছে বামেদের। তাই জোট করে আমরা ঠিক করেছিলাম না ভুল করেছিলাম তা ভাবতে হবে, ভুল হলে তা সংশোধন করতে হবে। অন্য দিকে, সিপিএমের বক্তব্য, শরিকদের সব অভিযোগ শোনা হবে। প্রয়োজন শরিক দলের দাবি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।
বামফ্রন্ট শরিকদের মধ্যে ভোট পরবর্তী এই মনোমালিন্য অবশ্য অপ্রত্যাশিত নয়। দিনকয়েক আগেও রাজ্য কমিটির বৈঠক চলাকালীন আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। শনিবারের বৈঠকে বামফ্রন্টের সমীকরণ কোন বদলের পথে এগোবে? সে দিকেই তাকিয়ে আছে রাজনৈতিক মহল।