প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: মহামারীর কারণে প্রথম থেকেই ভোট (Assembly Election 2021) প্রক্রিয়ায় নানা পরিবর্তন এসেছে। প্রার্থীদের খরচের হিসাবনিকেশ জমা দিতে হয়। আর তাতে স্বাক্ষর করেন নির্বাচনী আধিকারিক এবং এক্সপেন্ডেচার পর্যবেক্ষক। আর তা সশরীরে হাজির থেকে করতে হয়। কিন্তু এবার মহামারীর কারণে সেই নিয়মে ছেদ পড়ল। অনলাইনে স্বাক্ষর করছেন এক্সপেন্ডেচার পর্যবেক্ষকরা। অন্যান্য বার ফল প্রকাশের পরে ফের সংশ্লিষ্ট রাজ্যে আসেন তাঁরা। তারপর সেখানে এসে স্বাক্ষর করেন। এবার তা হচ্ছে ভার্চুয়ালি।
ফলাফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যে খরচের হিসাব দিতে হয় প্রার্থীদের। ভোটে তাঁরা কোন খাতে কত টাকা খরচ করলেন, বরাদ্দই বা কত ছিল সবটা স্পষ্ট উল্লেখ করতে হয়। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, প্রার্থীদের খরচের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব রাখতে হবে। তা নজরদারির জন্য একজন এক্সপেন্ডেচার অবজারভার তো ছিলেনই, সঙ্গে টাকার নয় ছয় হচ্ছে কি না তার নজরদারিতে এজেন্সি ও বিশেষ পর্যবেক্ষকদেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: তৃণমূলে আরও গুরুত্বপূর্ণ পদে কি অভিষেকের অভিষেক, ৫ জুনের মেগা বৈঠকের আগে জোরাল জল্পনা
ভোটের ফল প্রকাশের পর এবার কমিশনকে হিসাব বোঝানোর পালা প্রার্থীদের। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। যে টুকু বাকি রয়েছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তা হয়ে যাবে বলে কমিশন আধিকারিকরা জানাচ্ছেন। এই খরচের হিসাব জেলাগুলিতে জমা দেন প্রার্থীরা। তার পরে তা পাঠানো হয় সিইও দফতরে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই নথিপত্র নিয়ে কলকাতার সিইও দফতরে আসতে কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন দূরের জেলার আধিকারিকরা। জমা পড়া রিপোর্ট খতিয়ে দেখবে সিইও দফতর। তারপরে তা পাঠানো হবে নির্বাচন সদনে।