West Bengal Assembly: ‘ফ্লোরে ফেলে মার’, সাসপেন্ড চার! চুপ বিধানসভা চলছে….
West Bengal Assembly: তখনই শাসকদলের তরফে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তেই নাকি বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য় এক্সপাঞ্জ করা হয়েছে।

কলকাতা: ফের উত্তাল বিধানসভা। সোমবার এক ঝটকায় চার বিজেপি বিধায়কের উপর সাসপেন্ডের খাঁড়া নামালেন অধ্যক্ষ। বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, অগ্নিমিত্রা পাল, শংকর ঘোষ, দীপক বর্মন ও মনোজ ওঁরাকে গোটা অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবারও অধিবেশন চলাকালীন সাসপেন্ড হয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও। এক সপ্তাহ পরেও হয়নি পট পরিবর্তন। এবার সরাসরি এই অধিবেশনের জন্য নিলম্বিত হলেন পদ্ম বিধাককরা।
এই চার বিধায়ককে সাসপেন্ড করলেও ওয়াক আউটের পথে এগোয়নি তারা। শাসকের বিরুদ্ধে চালিয়ে যায় স্লোগান। সেই সময় তাদের টেনেহিঁচড়ে সভা কক্ষ থেকে বের করে মার্শাল টিম। কিন্তু কোন সূত্র ধরে উত্তাল হল পরিস্থিতি?
বিধানসভা তরফে খবর, কেন আগের অধিবেশনে বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য এক্সপাঞ্জ বা মুছে ফেলা হয়েছে বলে প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। তখনই শাসকদলের তরফে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তেই নাকি বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য় এক্সপাঞ্জ করা হয়েছে।
এরপর শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়ান বিজেপি বিধায়করা। চলে স্লোগান। কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানায় তারা। পাল্টা চিৎকার শুরু করে তৃণমূল বিধায়করাও। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ান অধ্যক্ষ। প্রত্যেককে সংযত হওয়ার কথা বলেন। এমনকি, বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। কিন্তু তারপরেও থামে না স্লোগান ও পাল্টা স্লোগান। তখনই চার বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ।
এদিন উত্তাল বিধানসভায় শুধু স্লোগানই নয়, বিজেপি বিধায়করা মাইক, টেবিল ভেঙেছেন বলেও অভিযোগ তোলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দিকে, বিধানসভা নিরাপত্তা রক্ষীরা বিজেপি বিধায়কদের ধাক্কা মেরে বের করে দিতেই গাড়ি বারান্দায় গিয়ে জড়ো হন তাঁরা। সেখানে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কর্মসূচি চালায় তাঁরা। সুর চড়ায় শাসকদলের বিরুদ্ধে। সেই সময় তাদের হাতে ‘চুপ বিধানসভা চলছে’ বলে একটি প্ল্যাকার্ডও লক্ষ্য করা যায়।
এদিন টিভি৯ বাংলাকে বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা আপাতত এই অধিবেশন থেকে নিলম্বিত বিধায়ক শংকর ঘোষ জানিয়েছেন, ‘ফ্লোরের মধ্যে আমাদের ফেলে মারা হয়েছে। মহিলা বিধায়কদের গায়েও হাত তুলেছে। তারপর টানতে টানতে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, আগের দিনও এরা একই পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল।’





