কলকাতা: পরিবহণ সংস্থার আড়ালে প্রতারণার ফাঁদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছিল বলে অভিযোগ। জোড়াবাগান থানার গঙ্গারাম দত্ত লেনের অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রতারণা চক্র ফাঁস হয়েছে। জানা গিয়েছে, আট হাজার টাকায় পারিবারিক গাড়ি চেন্নাই পাঠানোর চুক্তি হয়। এরপর গাড়িটি চেন্নাই পৌঁছনোর আগেই ফোনে আরও টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশি তদন্তে চক্রের পর্দা ফাঁস হয়। তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারণা, দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রতারণা চক্র সক্রিয়। মানুষকে ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল বলে অভিযোগ।
জোড়াবাগান থানা এলাকায় এক দম্পতির অভিযোগ, তাঁদের পারিবারিক একটি গাড়ি চেন্নাই পাঠাতে চান। সেই মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় গত ৮ই জানুয়ারি তাঁরা বিজ্ঞাপন দেখতে পান। সেই মতো ওই সংস্থার সঙ্গে দম্পতি যোগাযোগ করেন। সংস্থার তরফে জানানো হয় আট হাজার টাকার বিনিময়ে পারিবারিক গাড়িটি সংস্থা পৌঁছে দেবে চেন্নাইয়ে। সেই মতো ওই দম্পতি টাকাটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেন। এরপর ১৫ জানুয়ারি সংস্থার তরফে কলকাতা থেকে চালক পাঠিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযোগ, গাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর ওই দম্পতির কাছ থেকে ফোনের মাধ্যমে আরও ৪৬ হাজার টাকা চাওয়া হয়। তখনই তাঁরা প্রশ্ন করেন কেন এই অতিরিক্ত টাকা দেবেন? অভিযোগ, তখনই সংস্থার লোকজন দম্পতিকে ভয় দেখান। জানান অতিরিক্ত টাকা না দিলে গাড়িটি বিক্রি করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি আট হাজার টাকাও ফেরত দেবে না। এরপরই যে ঠিকানা ওই সংস্থার তরফে দম্পতিকে দেওয়া হয়েছিল তাঁরা সেখানে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখেন ওই সংস্থার কোনও অস্তিত্বই নেই।
আর দেরি না করে দম্পতি জোড়াবাগান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। ফুটেজ দেখে তিলজলা এলাকা থেকে সৈফুদ্দিন জামান নামে চালককে গ্রেফতার করে। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বেনিয়াপুকুর থেকে গাড়িটি উদ্ধার হয়। বাকিদের খোঁজেও চলছে তদন্ত।
অভিযোগকারিণী করিশ্মা ট্যান্ডন বলেন, “আমার থেকে ৮ হাজার টাকা চেয়েছিল গাড়ি চেন্নাই পৌঁছে দেবে বলে। পরে আরও টারা দাবি করে। আমরা টাকা না দিতে চাইলে ওরা ফোনে হুমকি দেয়। পরে পুলিশকে জানাই। পুলিশ এসে উদ্ধার করে আমাদের গাড়ি।”