কলকাতা: পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল বলেই রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু হাইকোর্টে দেওয়া হলফনামায় সেই পুলিশ সুপারের পাশেই দাঁড়িয়েছেন ডিজি। মেদিনীপুরের গণধর্ষণ মামলায় মঙ্গলবার ডিজি মনোজ মালব্যর ভূমিকা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। কেন তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে না, সেই প্রশ্ন তুললেন মামলাকারীর আইনজীবী সৌম্যজিৎ দাস। ঠিক কী ঘটেছে, তা জানতে চেয়ে ডিজি-কে হলফনামা পেশ করতে বলেছিল আদালত। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে ডিজি-র ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি গণধর্ষণের মামলায় ডিজি হলফনামা পেশ করে যা বলেছেন, তা নিয়ে মামলাকারীর কী বক্তব্য, তা লিখিত আকারে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ডিজি নিজে তদন্ত না করে অতিরিক্ত ডিজি-কে তদন্ত করতে দিয়েছিলেন, তাই আদালত অবমাননার মামলা করার কথা বলে মামলাকারী।
পাশাপাশি, ডিজি ওই জেলার পুলিশ সুপারকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেও, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি অভিযোগকারীর। সেই ইস্যুতেই এই মামলা হয়। আর সেই মামলায় ডিজি হলফনামায় দাবি করলেন, এসপি এই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, মামলার সাক্ষীরা কেন সবাই অভিযুক্তের আত্মীয়? আগামী ১৪ নভেম্বর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
গত ১১ অগস্ট পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর এলাকায় গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। দুষ্কৃতীরা শাসকদল ঘনিষ্ঠ বলে দাবি অভিযোগকারীর। অভিযোগ, ওই মহিলার বসতবাড়ি সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে এই ঘটনা ঘটিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ঘটনার দিন রাতেই নির্যাতনের কথা জানাতে আনন্দপুর এবং কেশপুর থানায় গিয়েছিলেন নির্যাতিতা ও তাঁর স্বামী। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ না নিয়েই তাঁদের ফিরিয়ে দেয় বলে মামলায় দাবি করেন ওই মহিলা। এমনকী মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়নি বলেও অভিযোগ।