কলকাতা: ঘটনার পর প্রায় দু দিন কেটে গিয়েছে। এখনও ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে উদ্ধার হচ্ছে দেহ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গার্ডেনরিচ থেকে আরও একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। গার্ডেনরিচের বাড়ি ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০। মৃতের নাম মহম্মদ জামিল, তিনি গার্ডেনরিচের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। রবিবার রাতের ঘটনার পর সোমবার এনডিআরএফ টিম পৌঁছয় গার্ডেনরিচে। তবে সোমবার রাতে আলোর অভাবে থমকে যায় উদ্ধারকাজ। তবে, মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের শুরু হয় ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ।
রবিবার রাত প্রায় ১২ টা নাগাদ বিকট শব্দে ভেঙে পড়ে বাড়ির একটি বড় অংশ। চাপা পড়ে যায় ঝুপড়ি। ছড়িয়ে পড়ে আর্তনাদের শব্দ। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। সেই ঘটনার পর থেকে ৪০ ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গিয়েছে। তারপরও উদ্ধার হল আরও এক মৃতদেহ। যে বাড়িটির অংশ ভেঙে পড়েছে, তার পাশেই ছিল ঝুপড়ি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ঘটনার পর থেকেই মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়তে থাকে। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কেউ থাকতেন ওই ঝুপড়িতে, কেউ কাজ করতেন শ্রমিক তথা রাজমিস্ত্রির কাজ।
এদিকে, গার্ডেনরিচের ওই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। কলকাতা পুরনিগমের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বোরোর সব ইঞ্জিনিয়ারকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, পুরনিগমের পরিবেশ বিভাগের তরফ থেকে ওই বাড়িটি তথা ওই এলাকা নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে।