Garden Reach: রয়েছে একাধিক গাফিলতি, গার্ডেনরিচকাণ্ডে ২১ দিন পর তিন ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করলন মেয়র

Sayanta Bhattacharya | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 14, 2024 | 11:06 AM

Garden Reach: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মাটি টেস্টেও লোহার রোডের গুণমান জানার জন্য এই কমিটিতে রাখা হয়েছিল। সেই টেস্ট রিপোর্ট সময় সাপেক্ষ। আসতে আর বেশ কিছুটা সময় লাগবে।

Garden Reach:  রয়েছে একাধিক গাফিলতি, গার্ডেনরিচকাণ্ডে ২১  দিন পর তিন ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করলন মেয়র
গার্ডেনরিচের দুর্ঘটনাস্থল (ফাইল ছবি)
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

কলকাতা:  গার্ডেনরিচ কাণ্ডে তিন ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করলন মেয়র। শনিবার কলকাতা পুরসভায় গার্ডেনরিচ বেআইনি নির্মাণ ভেঙে পড়া কাণ্ডে যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে, সেই রিপোর্ট অনুযায়ী রাতে কলকাতা পৌরসভার কমিশনার মেয়রের নির্দেশে ১৫ নম্বর বরোর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার -তিন জনকে সাসপেন্ড করলেন। শনিবার রাতে এ ব্যাপারে অর্ডার জারি হয়েছে। কলকাতা পুরসভার সূত্রের খবর, ওই তিনজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে একাধিক গাফিলতির অভিযোগ এসেছিল। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্টই অস্বস্তিতে ছিল পুর প্রশাসন। এর পরই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে আসার পর গতকাল রাতে এ ব্যাপারে অর্ডার জারি হল। ২২ মার্চ ৭ জনের তদন্ত কমিটি তৈরি করে পুরসভা। সাত জনের তদন্ত কমিটি করেছিল কলকাতা পুরসভা। তিন সপ্তাহ পর সোয়েল টেস্ট ও নির্মাণ বিষয়ক একটি রিপোর্ট ছাড়া, বাকি রিপোর্ট তৈরি হয়ে জমা পড়েছে।

যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে জানা গিয়েছে, রেইনফোর্সমেন্ট সিমেন্ট কংক্রিট ঠিক ছিল না। সঙ্গে রাফট ফুটিং অর্থাৎ বিন্দুমাত্র কংক্রিটের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বাড়িটির ভিত।‌এ ছাড়াও নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ওই রিপোর্টে উঠে এসেছে। কোনওরকম স্ট্রাকচারাল ডিজাইন ছাড়াই ওই বহুতলটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মাটি টেস্টেও লোহার রোডের গুণমান জানার জন্য এই কমিটিতে রাখা হয়েছিল। সেই টেস্ট রিপোর্ট সময় সাপেক্ষ। আসতে আর বেশ কিছুটা সময় লাগবে। তবে ২১ দিন পরেও এখনও কেন সোয়েল টেস্টের রিপোর্ট এল না, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

গার্ডেনরিচে একটি নির্মীয়মান বাড়ি ভেঙে পড়ে।  সেই ঘটনার তদন্তে নেমে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দোতলা বাড়ির নির্মাণের ওপর তৈরি হচ্ছিল পাঁচ তলা ভবন। সঙ্গে মাটিরও সমস্যা ছিল। সেই ঘটনায় এলাকার  মেয়র ও কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে বেআইনি নির্মাণে মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু প্রথম থেকেই মেয়র কাউন্সিলরের গাফিলতি মানতে নারাজ ছিলেন না। তাঁর বক্তব্য ছিল, বেআইনি নির্মাণ দেখার দায়িত্ব কাউন্সিলরের নয়, বরং সেটা ইঞ্জিনিয়রদের কাজ। মেয়রের সুরে সুর মিলিয়েছিলেন  এলাকার কাউন্সিলরও। ২১দিন পর পৌরসভার তরফে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তাদের রিপোর্টেও ধরা পড়ল ইঞ্জিনিয়রদেরই গাফিলতি।

Next Article