কলকাতা: গৃহস্থের হেঁশেলে আগুন। ক্রমাগত চড়ছে সবজির দাম (Vegetable Price Hike)। আলু, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে টমেটো, বেগুন, পটল- যে কোনও সবজির দামই চড়া। অন্যদিকে, আকাশছোঁয়া মাছ-মাংসের দামও। নিত্য যাপনে কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে মধ্যবিত্তের। আর এই আকাশ ছোঁয়া তালিকায় আদা একেবারে শীর্ষে। রান্নাঘরে ঢুকলেই টুকিটাকি সবজির পাশাপাশি এক-দুই টুকরো আদা অন্তত পাওয়া যায়। কিন্তু বিগত এক মাস ধরে সেই আদা কেনাও দায় হয়ে উঠেছে। ৩০০ টাকা প্রতি কেজির নীচে কোনও বাজারে আদার (Ginger) হদিশ পাবেন না। কিন্তু হঠাৎ কেন বাড়ল আদার দাম?
অনেকেই বলতে পারেন যে, আদার ব্যাপারী হয়ে জাহাজের খোঁজ রাখব কেন? কিন্তু যেহেতু ‘জাহাজেই’ আসছে আদা, তাই ব্যাপারী হয়ে আপনাকে খোঁজ তো রাখতেই হবে। গত জুন মাসের গোড়াতেও বাজারে আদা বিক্রি হচ্ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। জুলাই মাস পড়ার আগেই সেই দাম ৩০০ টাকার গণ্ডি পার করে গিয়েছে। হঠাৎ এই মূল্যবৃদ্ধির পিছনে একদিকে যেমন কম ফলন হওয়াকে দায়ী করা হয়েছে, তেমনই আবার জোগানের অভাবকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ব্য়বসায়ীরা।
বাজারে আদা বিক্রেতাদের কথায়, “আমরা পাইকারি বাজার থেকে শাক-সবজি কিনি। মূলত শিয়ালদহের বাজার থেকেই আমরা আদা কিনি। ধরুন ২৭০ টাকা কেজি দরে আমরা আদা কিনছি। সেটা বাজারে আনার জন্যও একটা নির্দিষ্ট খরচ হয়। পাশাপাশি আমরা যেহেতু বস্তা ধরে কিনি, তার মধ্যে অনেক আদা পচা বের হয়। যৎসামান্য লাভ রেখেও যদি ক্রেতাদের কাছে আদা বিক্রি করতে যাই, তাহলেও ৩০০ টাকা কেজি দরে দাম পৌঁছচ্ছে।”
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরাও জানিয়েছেন, মূলত গরমে প্রচুর পরিমাণ আদা পচে যাওয়ায় এবং বর্তমানে বর্ষার মরশুমে ফলন কম হওয়াতেই জোগান কমে গিয়েছে। ফলে শাক-সবজির পাশাপাশি ক্রমাগত বাড়ছে আদার দামও। আদার মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম আরেকটি কারণ হল মণিপুরের অশান্তি।
আমাদের রাজ্যে মূলত আদা চাষ হয় কোচবিহারে। তবে তা অতি সামান্য। সেই তুলনায় অনেক বেশি আদা চাষ হয় মণিপুরে। গোটা দেশেই আদা সরবরাহ করা হয় মণিপুর, মেঘালয়ের মতো উত্তর পূর্বের রাজ্য থেকে। মণিপুরে অশান্তির কারণে ওই রাজ্য থেকে আদার আমদানি ব্যহত হচ্ছে। ফলে জোগানে ঘাটতি পড়ায় ক্রমাগত বাড়ছে আদার দাম।
কাঁচা লঙ্কা-৩০০ টাকা প্রতি কেজি।
বিনস-১৫০ টাকা প্রতি কেজি।
আদা-৩০০ টাকা প্রতি কেজি।
টমেটো- প্রতি কেজি ১৫০ টাকা।
বেগুন- ১৫০ টাকা প্রতি কেজি।
পটল- ৬০ টাকা প্রতি কেজি।
উচ্ছে-১০০ টাকা প্রতি কেজি।
পেঁপে- ৪০ টাকা প্রতি কেজি।
লাউ- ৪০ টাকা কেজি।
ঝিঙে-১০০ টাকা কেজি।
ফুলকপি-৬০ টাকা কেজি।
গাজর- ৬০ টাকা কেজি।
ক্যাপসিকাম-১৩০ টাকা কেজি।
শসা-৮০ টাকা কেজি।