কোচবিহার: উত্তরবঙ্গের (North Bengal) একাধিক জেলায় ঘুরছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। কোথায় আইন-শৃঙ্খলার ব্যবস্থা কেমন রয়েছে তা সরেজমিনে খতিয়েও দেখছেন। যাচ্ছেন আহত-নিহতদের বাড়িতে। এই মুহূর্তে তিনি রয়েছেন কোচবিহারে। এর মধ্যে শনিবার রাতে কংগ্রেস ও তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় কোচবিহারের শীতলদহে। প্রাথমিকভাবে পাওয়া খবরে জানা যায় ঘটনায় দু’পক্ষের ৭ জন আহত হন। আহতের তালিকায় ছিলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মাফুজার রহমান। তিনি-সহ আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী ভর্তি রয়েছেন কোচবিহারের শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই এ দিন তাঁদের দেখতে আসেন রাজ্যপাল।
আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন রাজ্যপাল। কথা বলেন হাসপাতালের কর্মী, চিকিৎসকদের সঙ্গেও। এদিন সিতাইতে যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যপালের। সেখানে বিএসএফের একটি অনুষ্ঠানে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে যাওয়ার আগের মুহূর্তে চলে আসেন এই বেসরকারি হাসপাতালে। এদিকে এর আগে উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্তে আহত হওয়া বিজেপি কর্মীদের দেখতে গিয়েছেন রাজ্যপাল। ছুটে গিয়েছিলেন কোচবিহারের চকচকির একটি হাসপাতালে। কথা বলেন সিসিএউতে ভর্তি থাকা এক আক্রান্তের সঙ্গে।
দিনহাটার নিহত বিজেপি কর্মী প্রশান্ত রায় বসুনিয়া ও সাহেবগঞ্জের টিয়াদহের নিহত বিজেপি কর্মী শম্ভু দাসের বাড়িতেও গিয়েছিলেন তিনি। নিহতদের স্বজনহারা পরিবারগুলির সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথাও বলেন। রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় পরিবারের সদস্যদের। কিন্তু, কেন বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল? এ ঘটনার পর সে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল শাসকদল। এরইমধ্যে এবার আহত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দেখতে যাওয়ায় তা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে চর্চা।
সূত্রের খবর, শনিবার রাতে সদলবদলে কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়িতে যায় তৃণমূল নেতা মাফুজার রহমান। সেই সময় তাঁদের হাতে অনেক আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলেও খবর। অভিযোগ বাড়িতে ঢুকতেই কংগ্রেস প্রার্থী লতিফা খাতুন বিবি এবং তাঁর স্বামী রফিকুল হক তাঁদের উপর পাল্টা চড়াও হন। দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। তাতেই আহত হন মাফুজার সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। তবে রাজ্যপাল শুধু মাফুজারদেরই দেখতে গিয়েছেন এমনটা নয়। প্রসঙ্গত, ২৭ জুন নহাটা-১ ব্লকের গীতালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের জরিধল্লা গ্রামে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন তৃণমূল কর্মী বাবু হক। তাঁর বাড়িতেও শনিবার গিয়েছিলেন আনন্দ বোস।