কলকাতা: তিলোত্তমা খুন-ধর্ষণ মামলায় রায় ঘোষণার আগের দিন ফের বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা-মা। সিবিআই ও রাজ্য সরকারকে একযোগে নিশানা। ‘রাজ্য চায়নি বলেই মেয়েটা বিচার পায়নি’, দাবি তিলোত্তমার মা-বাবার। তিলোত্তমার বাবা তো স্পষ্ট বললেন, “সিবিআই কোনও কাজই করেনি। সিএফএসএল বলছে ঘটনা সেমিনার রুমে ঘটেনি। সিবিআই ধৃত সিভিক একাই দোষী বলে দেখাচ্ছে। সেটাই প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। যদিও তারা কতটা সফল হবে সেটা আদালতের রায়ের উপর নির্ভর করছে।”
তিলোত্তমার মা আবার বলছেন এক ‘অদৃশ্য আদেশের’ কথা। তাঁর কথায়, “আমার মেয়ের মৃত্যুর পর থেকে দেখতে পাবেন একটা অদৃশ্য আদেশ কাজ করছে নেপথ্যে। এটা আমাদের মনে হচ্ছে।” বাবা বলছেন, “একটা অদৃশ্য হাত কাজ করছে। কিন্তু সে হাত কার? এখানেই রীতিমতো ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা গেল তাঁদের। ইঙ্গিত একেবারে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তরের দিকে। তাঁদের দাবি, সম্ভবত সেই অদৃশ্য হাতের অদৃশ্য নির্দেশেই সব তথ্য-প্রমাণ লোপাট হয়েছে। সে কারণেই চালান ছাড়াই রাতে ময়নাতদন্ত হয়েছে। তিলোত্তমার মা বলছেন, “উপর থেকে নির্দেশ ছাড়া তো আমরা আমাদের মেয়ের মুখটুকুও দেখতে পাইনি। সিপি আমাদের অনেকক্ষণ বসিয়ে রেখেছিলেন। উপরের নির্দেশ আসার পর আমাদের দেখতে দেওয়া দেওয়া হয়েছিল। বাবার সাফ কথা, “রাজ্য চায়নি তাই বিচার পায়নি মেয়েটা।”
৯ অগস্ট থেকে ১৮ জানুয়ারি, পাঁচ মাস পর তিলোত্তমা কাণ্ডে রায় দিতে চলেছে শিয়ালদহ আদালত। কাল দুপুর আড়াইটের সময় রায় শোনানোর কথা বিচারকের। তবে এরইমধ্যে আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন বাম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলছেন, “সব সময় তাড়াতাড়ি বিচারে ন্যায় বিচার হয় না। এটা কোনও সাধারণ খুন বা ধর্ষণের ঘটনা নয়। সে ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করা মানে আসলে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা।”