AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bowbazar: ধনতেরাসে পথে দোকানি, বৌবাজারের ঘটনার পর ফুটপাতেই বিক্রি করছেন সোনা-রুপো

Bowbazar: ধনতেরাসের সন্ধেয় বৌবাজারের ফুটপাথে বিক্রি হচ্ছে সোনা-রুপোর গহনা। বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে যেখানে সোনা-রুপোর দোকান সেগুলিও সেজে উঠেছে ধনতেরাস উপলক্ষ্যে।

Bowbazar: ধনতেরাসে পথে দোকানি, বৌবাজারের ঘটনার পর ফুটপাতেই বিক্রি করছেন সোনা-রুপো
পথেই বিক্রি হচ্ছে সোনা-রুপো (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Oct 23, 2022 | 7:50 AM
Share

কলকাতা: মেট্রো বিপর্যয় বৌবাজারে (Bowbazar) পথে বসিয়েছে সোনার দোকানের মালিককে। ধনতেরাসে ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে সোনা-রুপো। এত কিছুর মধ্যেও আশার খবর, ধনতেরাসে জমজমাট বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের সোনা রুপোর বিপণি গুলি।

ধনতেরাসের সন্ধেয় বৌবাজারের ফুটপাথে বিক্রি হচ্ছে সোনা-রুপোর গহনা। বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে যেখানে সোনা-রুপোর দোকান সেগুলিও সেজে উঠেছে ধনতেরাস উপলক্ষ্যে। আর সেই আনন্দ-আলোর মাঝে কোথাও লুকিয়ে রয়েছে যন্ত্রণার অন্ধকার।

দেবাশীষ দত্ত, বন্ধ দোকানের মালিক বলেন, ‘গত ১৪ অক্টোবর মেট্রো বিপর্যয়ের জন্য আমার দোকান প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ররা এসে দোকান বন্ধ রাখতে বলে গিয়েছেন। দোকানের ভিতরের পরিস্থিতি খুবই বিপদজনক, সেই কারণে ওনারা দোকান এখন খুলতে বারণ করে গিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধনতেরাসের সঙ্গে আমাদের একটা অনুভূতি জড়িয়ে রয়েছে। এই ধনতেরাস ক্রেতা-বিক্রেতাদের মিলন উৎসব বলা যায়। ক্রেতাদের মনে একটা বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারত কী হল, না হল বলে। সেই কারণে আমাদের প্রচেষ্টা। অন্তত ক্রেতারা যেন আমাদের অবস্থা জানতে পারেন।’

বিপর্যয়কে সঙ্গী করেই চলতে শিখে গিয়েছে বৌবাজার। দোকানে দোকানে ভিড়ে ঢোকা দায়। এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী বলেন, ‘এই বছর খুবই ভাল সাড়া পাচ্ছি আমরা। করোনার আগে অতটা না হলেও, করোনার পরে পরিস্থিতি একটু ভাল।’ সবকিছু একসময় ঠিক হয়ে যাবে। আশাবাদী বৌবাজার।

সোনার দোকানের আরও এক কর্মী বলেন, ‘একটা বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে। এখন কষ্ট করতে হচ্ছে। কষ্টের পরই সুখ আসে।’ সুখসমৃদ্ধির আশায় ক্রেতারাও।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন পূর্বে বৌবাজারের মদন দত্ত লেনের অন্তত ১০টি বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়।পুজো শেষে দিন কয়েক আগে মেট্রেোর কাজ শুরু হয়েছিল। আর তারই মধ্যে এই বিপত্তি ঘটে।দুর্ভোগের শিকার হতে সাধারণ মানুষকে।ঘর-বাড়ি ছেড়ে হোটেলে গিয়ে উঠতে হয় তাঁদের।

মূলত মেট্রোর কাজের জন্য যেখানে জয়েন্ট বক্স তৈরি হচ্ছে, তার তলায় জলের পকেট রয়েছে। ফলে জয়েন্ট বক্স তৈরির আগে কংক্রিটের স্ল্যাব তৈরি করা জরুরি। সেই মতো প্রায় দেড় মিটার গর্ত খোঁড়া হয়েছিল। খোঁড়াখুড়ির জেরে বিভিন্ন ছিদ্র দিয়ে জল বেরোতে শুরু করে। গত মে মাসে (দুর্গাপিতুরি লেনের ঘটনা) ১১টি ছিদ্র দিয়ে জল বেরোনোর ঘটনায় বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়ল। সেই জয়েন্ট বক্স বসানোর জন্য কংক্রিটের স্ল্যাব তৈরির কাজ ৬ মিটার বাকি থাকে। ৬ মিটারের কাজের জন্য দেড় মিটার মাটি খোঁড়ার কাজ হচ্ছিল। সেই দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ছিদ্র হয়ে জল বেরোতে শুরু করে। পরে ৮টি ছিদ্র দিয়ে জল বের হয়। বৃহস্পতিবার সেই জলের পরিমাণ এতটাই বেড়ে যায় যে তার জেরে ঘটে বিপত্তি।