কলকাতা: ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে মহিলার সঙ্গে আলাপ এবং অনলাইন ঘনিষ্ঠতা। বেশ কিছুদিন কথা বলার পর একান্তে সময় কাটানোর টোপ। আর সেই ফাঁদে পা দিয়েই অপহৃত বাঘাযতীনের যুবক। পরিবারকে ফোন করে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের তরফ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। শেষ পর্যন্ত যুবক উদ্ধার। গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত মহিলা সহ বাকিরা। এই ঘটনার তদন্তে নেমে বড় কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস করল পুলিশ। অভিযুক্ত মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামীও গ্রেফতার হয়েছেন।
শহরে যেন ‘বান্টি বাবলি’ যুগলবন্দি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে পাটুলি থানায় অভিযোগ জানাতে আসেন বাঘাযতীনের ওই যুবকের মা। জানা যায়, ওই যুবককে প্রথমে পাটুলির একটি গেষ্ট হাউজ়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে গলফ গ্রিনের অরবিন্দ নগরের একটি ফ্ল্যাটে। সেখানেই আটকে রেখে মারধর করে ১ লক্ষ টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ।
চাপ সৃষ্টি করে যুবকের বাড়িতে যুবককে দিয়ে ফোন করানো হয়। সূত্রের খবর, যুবকের মা ৪০ হাজার টাকা দিয়ে এই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান ছেলেকে। যদিও পুলিশের তরফ থেকে এবিষয়ে কোনও নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি।
এরপর থানায় গোটা বিষয়টি জানালে পুলিশ মহিলাকে ট্র্যাক করে আটক করে। মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে অরবিন্দ নগরে যে ফ্ল্যাটে আটকে রাখা হয়েছিল সেখানে পৌঁছয়। জানা যায়, ফ্ল্যাটটি সৈকত পাল নামে এক ব্যক্তির। তাঁকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ফ্ল্যাটেই দলের বাকি সঙ্গীরা ছিল ঘটনার সময়।
রবিবার রাতে বাকিদের পাকড়াও করা হয়। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত মহিলার স্বামী বাবুসোনাকে।
সৈকত পালের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার নানচাকু, গাঁজার কলকে। এই নান চাকু দিয়ে মারধর করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই গ্যাঙের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা বলেন, “আমরা কিছুই জানতাম না। ছেলেগুলো নেশাভান করত, সেটা জানি। কিন্তু অপহরণের ব্যাপারে কিছু জানতাম না। ঘর থেকেও তো অনেক কিছু পাওয়া গিয়েছে শুনেছি।”