কলকাতা: কাটা মুণ্ড উদ্ধার হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একজনকে আটক করল পুলিশ। শুক্রবার গল্ফগ্রীন এলাকায় আবর্জনার ভ্যাটের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলার কাটা মাথা। লেগে আছে কাঁচা রক্ত। সেই দৃশ্য দেখে সাফাইকর্মীরাই খবর দেন পুলিশকে। এরপর তড়িঘড়ি সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়। রাতেই জানা যায় ওই মহিলার পরিচয়, আর ভোরেই আটকর করা হল এক ব্যক্তিকে।
আতিকুর নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোর রাতে ওই এলাকায় আতিকুরের গতিবিধির প্রমাণ পাওয়া যায়। সিসিটিভি ও টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করেই পুলিশ তদন্ত করেছে বলে সূত্রের খবর। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজে আতিকুরের উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছিল পুলিশ।
কলকাতা পুলিশ তদন্ত শুরু করার পর অপরাধীকে ধরতে আশপাশের পুলিশ জেলা ও কমিশনারেটের কাছেও পাঠিয়ে দেয় আতিকুরের ছবি। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ ওই ছবি দেখে খোঁজ শুরু করে ও আতিকুরের খোঁজ পায়। পাওয়া যায় মোবাইল নম্বর। এরপরই কলকাতা পুলিশ টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে জানতে পারে ভোর রাতে গল্ফ ক্লাব এলাকায় ছিলেন আতিকুর। শুরু হয় অভিযান। রাতেই কলকাতা পুলিশের জালে আটকে যান আতিকুর।
পুলিশ সূত্রে খবর, আতিকুর লস্কর দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের বাসকভাঙা পঞ্চগ্রামের বাসিন্দা। আর নিহত মহিলার নাম খাদিজা বিবি। মুড়াগাছা কালীতলা পারুল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন খাদিজা। তাঁর বিয়ে হয়েছিল মগরাহাটের রাধানগর গ্রামে। অর্থাৎ খাদিজার শ্বশুরবাড়ির এলাকারই বাসিন্দা আতিকুর। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে প্রেমঘটিত টানাপোড়েনের জেরে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। খুনের বিষয়ে আতিকুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এদিকে, নিহত মহিলার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে অন্যান্য দিকগুলিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। গল্ফক্লাবের পিছনে মাথা উদ্ধার হলেও দেহের বাকি অংশ কোথায় খোঁজ এখনও পায়নি পুলিশ।