কলকাতা: নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) কালিয়াগঞ্জ। মঙ্গলবার পরিস্থিতি চরমে পৌঁছয়। জনরোষ এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায় থানার ভিতর। আহত হন সাংবাদিকও। এবার এই ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor C.V Anand Bose)। যদিও বর্তমানে তিনি দিল্লিতে। সেখান থেকেই কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) ঘটনা নিয়ে মুখ্যসচিব ও রাজ্য ডিজিপি-র সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কড়া পদক্ষেপ করারও কথাও বলেছেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে, কালিয়াচকের কিশোরী মৃত্যুর ঘটনারও রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি। গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল দিল্লি সফর কাটছাঁট করে তড়িঘড়ি রাজ্যে ফিরে আসছেন।
সূত্রের খবর, এদিন বিকালে কালিয়াগঞ্জ উত্তপ্ত হয়ে ওঠার খবর দিল্লিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছেও পৌঁছেছে। সেই খবর পেয়েই দিল্লি থেকে মুখ্যসচিব ও রাজ্য ডিজিপি-র সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কালিয়াগঞ্জ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টও চেয়ে পাঠান। ঠিক কী ঘটেছিল, নাবালিকার কী ভাবে মৃত্যু হয়েছিল, এই মামলা ও তদন্তের কী অগ্রগতি ঘটেছে, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি কী- সেই সমস্ত ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোটা ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করারও কথাও বলেছেন তিনি। শুধু মৌখিক বার্তা দেওয়া নয়, এদিনের থানায় বিক্ষোভ, আগুন লাগানো সহ গোটা ঘটনায় পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, সে ব্যাপারেও বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল।
অন্যদিকে, আগামিকাল, বুধবার দিল্লিতে একাধিক কর্মসূচি, কেন্দ্রীয় শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক ছিল রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোসের। সেই সমস্ত কর্মসূচি শেষ করেই কলকাতা ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু, এদিনের কালিয়াগঞ্জের উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে সমস্ত কর্মসূচি, বৈঠক বাতিল করে তড়িঘড়ি কলকাতা ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। এদিন রাতেই অথবা আগামিকাল ভোরের বিমানে তিনি কলকাতা ফিরে আসবেন বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, মালদার কালিয়াচকে কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই মালদা জেলার পুলিশ সুপারকে চিঠি পাঠিয়েছেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট এবং ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে পাঠানোর জন্য বলেছেন তিনি। সেই ঘটনারও রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল।