Raj Bhaven: মাঝরাতে নবান্ন ও দিল্লিতে চিঠি রাজ্যপালের, বাড়ছে জল্পনা

Deeksha Bhuiyan | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Sep 10, 2023 | 12:18 AM

C.V Anand Bose: দুটি খামবন্দি চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজভবনের তরফে। যার মধ্যে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে নবান্নে এবং অপর চিঠিটি পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। যদিও দিল্লিতে কার কাছে চিঠি পাঠানো হল, চিঠিতে ঠিক কী লেখা রয়েছে, তা এখনও রাজভবনের তরফে স্পষ্ট করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে।

Raj Bhaven: মাঝরাতে নবান্ন ও দিল্লিতে চিঠি রাজ্যপালের, বাড়ছে জল্পনা
রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস।
Image Credit source: টিভি৯ বাংলা

Follow Us

কলকাতা: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে উঠেছে। গভীর রাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শনিবার সকালে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস। সেই হুঁশিয়ারি মোতাবেক রাত ১২টার কয়েক মিনিট আগেই পদক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল। দুটি খামবন্দি চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজভবনের তরফে। যার মধ্যে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে নবান্নে এবং অপর চিঠিটি পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। যদিও দিল্লিতে কার কাছে চিঠি পাঠানো হল, চিঠিতে ঠিক কী লেখা রয়েছে, তা এখনও রাজভবনের তরফে স্পষ্ট করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে।

বিতর্কের সূত্রপাত, শুক্রবার বিকালে রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্য ঘিরে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তাঁকে মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। যার পাল্টা জবাব দিয়ে শনিবার সকালে রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’ অর্থাৎ মধ্যরাতে রাজ্যপাল কী পদক্ষেপ করবেন, তা নিয়ে দিনভোর জল্পনা চলে। তারপর এদিন বিকালে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে রাজভবনে তলব করা হয়। সেখানে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক চলে। যদিও তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়, তা স্পষ্ট হয়নি। নানান জল্পনার মাঝে অবশেষে রাত ১২টার মিনিট দশেক আগে রাজভবনের তরফে দুটি চিঠি পাঠানো হল। এই দুটি চিঠিতে কী লেখা রয়েছে তা স্পষ্ট না হলেও এর যে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে তা বলা বাহুল্য।

ওয়াকিবহালের অনুমান, রাজ্যপাল একটি চিঠি যেমন নবান্নে পাঠিয়েছেন, অপর চিঠিটি রাষ্ট্রপতি অথবা প্রধানমন্ত্রীকে পাঠাতে পারেন। রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা পরিস্থিতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে যে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ করতে পারেন বলে একাংশের অনুমান। এবার এই চিঠির প্রেক্ষিতে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করে, তা বলা বাহুল্য।

Next Article