কলকাতা: এ রাজ্যে কথায় কথায় মামলা। এবার উপাচার্যদের জন্যও আইনি পাঠের ব্যবস্থা করলেন রাজ্যপাল। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি বা ম্যাকাউটের বৈঠকে পাঁচ মিনিটের আইনি উপদেশ দিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইনি সমস্যা মেটাতে কীভাবে এগোনো যায়, সাহস জোগালেন রবীন্দ্রভারতীর অন্তর্বর্তী উপাচার্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখেপাধ্যায়। হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট দেখাচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রশ্ন উঠছে, তাই কি নিজের উপাচার্যদের আইনি পাঠ পড়িয়ে চাঙ্গা রাখলেন আচার্য?
সোমবার ইউনিভার্সিটি কোঅর্ডিনেশন সেন্টার বা বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয় কেন্দ্রের প্রথম বৈঠক ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল তথা রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য সিভি আনন্দ বোস। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য। পাশাপাশি ইজেডসিসির যিনি মাথায়, তাঁর সঙ্গেও বৈঠক হয় সোমবার। ঐতিহ্য সংস্কৃতি নিয়ে কথা হয় তাঁদের মধ্যে। অর্থাৎ একদিকে যেমন আইনি পাঠদানে উদ্যোগী আচার্য, অন্যদিকে ঐতিহ্য সংস্কৃতির ধারার গতি যাতে কোনওভাবে অবরুদ্ধ না হয় সেদিকেও নজর রয়েছে।
প্রসঙ্গত, একদিকে একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে যেমন রাজ্যের সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে আচার্য সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন নিয়ে শিক্ষা দফতরের তিক্ততা চরমে। এই আবহে সোমবার যখন রাজ্যপাল উপাচার্যদের নিয়ে সল্টলেক ম্যাকাউটে বৈঠক করছেন, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তখন প্রশ্ন তোলেন আচার্যের এক্তিয়ার নিয়ে। নির্বাচিত রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরকে বাদ দিয়ে আচার্য এটা করতে পারেন কি না সেটাই প্রশ্ন। এমনও বলেছেন, দেশের শীর্ষ আদালতে যাচ্ছেন তাঁরা। আচার্যর এক্তিয়ার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সদুত্তরের আশায় মুখিয়ে তাঁরা।