কলকাতা: দীর্ঘ প্রায় মাসদুয়েক পর নীরবতা ভাঙলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। ফের একবার আক্রমণে শান দিলেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। (WB Govt)
যে জগদীপ ধনখড় নিয়মিত ব্যবধানে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে টুইটে তোপ দাগতেন, সেই রাজ্যপালই কোনও অজানা কারণে বেশ কিছুদিন যাবৎ চুপ ছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনেও কোনও বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা যায়নি তাঁকে। কিন্তু রবিবার ফের একবার রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাতের ইঙ্গিত পাওয়া গেল। ফিনান্স কমিশনের সুপারিশ না পাঠানো নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সংবিধানের ২৪৩আই এবং ২৪৩ওয়াই অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর ফিনান্স কমিশন কোনও সুপারিশ পাঠাচ্ছে বলে টুইটে দাবি করেছেন রাজ্যপাল। তাঁর দাবি, ২০১৪ সাল থেকে কোনও সুপারিশই নাকি পাঠানো হয়নি। যে ঘটনাকে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়ার সঙ্গে তিনি তুলনা করেছেন।
State Finance Commission (SFC) @MamataOfficial under Articles 243-I & 243Y, is required to make recommendations to Governor that are to be laid before the Legislature of the State.
What a collapse of constitutional mechanism, since 2014 not a single recommendation to Governor. pic.twitter.com/MV2mir4msO
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) September 19, 2021
রাজ্যপালের দাবি, সংবিধানের ওই ধারা অনুযায়ী রাজ্য় সরকার রাজ্যপালকে সুপারিশ পাঠাতে বাধ্য। এই সুপারিশগুলি পেশ করতে হয় বিধানসভায়। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকেই কোনও সুপারিশ পাঠানো হয়নি। অর্থাৎ তাঁর পূর্বসূরি কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছেও কোনও সুপারিশ পৌঁছয়নি বলে দাবি করেছেন জগদীপ ধনখড়। এই অভিযোগ তুলেই তিনি তোপ দেগে বলেছেন, রাজ্যের সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে।
Recommendations to Governor are for principles that should govern the distribution between State and Panchayats/Municipalities of net proceeds of taxes, duties, tolls & fees leviable @MamataOfficial , which may be divided and allocated between State and Panchayats/Municipalities.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) September 19, 2021
এই নিয়ে গত ২ সপ্তাহে নতুন করে রাজ্যের বিরুদ্ধে বিরোধিতা দেখালেন রাজ্যপাল। যদিও এর আগে তিনি রাজ্যের বিজনেস সামিট নিয়ে কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু তাতে তেমন কোনও ঝাঁঝ ছিল না। এ বারের টুইটে ধনখড় যেন ফের আগের মেজাজেই ধরা দিচ্ছেন।
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও আগাগোড়াই যথেষ্ট সরব ছিলেন তিনি। কিন্তু অবাকভাবে, যে সময় আদালত ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাইকোর্ট রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে ও রায় দেয়, সেই সময়টা মৌনব্রত আপন করে রেখেছিলেন। যা বস্তুত অবাক করেছিল রাজ্যের শাসকদলের শীর্ষ নেতাদেরও। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন, রাজ্যপালের হলটা কী? তবে আজকের টুইটে একটা বিষয় স্পষ্ট, এখনই ছেড়ে কথা বলার মেজাজে নেই জগদীপ ধনখড়।
আরও পড়ুন: Babul Supriyo: ‘তৃণমূল যেন বিড়ম্বনায় না ফেলে’, ‘বোনের’ জন্য ‘দিদির’ কাছে প্রার্থনা বাবুলের!