Governor Jagdeep Dhankhar: পুরভোটের দিনেই রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন সমাপ্তির ঘোষণা রাজ্যপালের

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Feb 12, 2022 | 4:05 PM

Kolkata: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নতুন কোনও ঘটনা নয়। সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে 'ঘোড়ার পাল' বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এমনকী টুইটারেও তাঁকে 'বাধ্য' হয়ে ব্লক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Follow Us

কলকাতা: তাঁর সঙ্গে বরাবরই রাজ্য সরকারের ‘সংঘাতের সম্পর্ক’। বিভিন্ন সময়েই টুইটে ঝড় তোলেন তিনি। এ বার পুরভোটের দিনেই ফের বিতর্কের শিরোনামে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। টুইট করে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘সংবিধানের ১৭৪ (২)-এর অনুচ্ছেদের অধীনে ১২ ফেব্রুয়ারি অধিবেশন সমাপ্ত করা হচ্ছে।’ রাজ্যপালের ঘোষণা ঘিরে কার্যত বিতর্ক শুরু হয়েছে। কারণ,  ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে বিধানসভার দু’টি অধিবেশন হয়েছে। একটি বাজেট অধিবেশন ও অন্যটি শীতকালীন অধিবেশন। গত ১৭ নভেম্বর ছিল শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিন। সেদিন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়  অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি করে দেন। ফলে পরের অধিবেশন ডাকতে গেলে পরিষদীয় দফতরের রাজ্যপালের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। তাহলে সমস্যা কোথায়?

সংসদীয় রীতি অনুযায়ী, বাজেট অধিবেশন শুরু করতে রাজ্যের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। কেন্দ্রের ক্ষেত্রে অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি। বাজেট অধিবেশন শুরুই হয় রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত নিয়ে। শীতকালীন অধিবেশন শেষ হলেই পরিষদীয় দফতর সেই অধিবশন শেষের সমস্ত নথি পাঠিয়ে দেয় রাজভবনে। রাজ্যপাল তাতে সই করেন। তারপর ফের পরবর্তীতে একই পদ্ধতিতে পারস্পরিক আহ্বান ও অনুমোদনের মাধ্যমে নতুন (পড়ুন বাজেট ) অধিবেশন শুরু হয়।

সূত্রের খবর, সাম্প্রতিককালে, রাজ্যপাল ও রাজ্যের সম্পর্ক বেশ জটিল। ফলে, গত বছর ১৭ নভেম্বর অধিবেশন শেষ হলেও তার যাবতীয় নথি রাজভবনে সময়ে পাঠানো হয়নি বলে অভিযোগ। রাজ্যই ফাইল পাঠাতে দেরি করেছে এমনটাই অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি, রাজভবন সূত্রে  খবর, যে পরিষদীয় দফতর থেকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাজভবনে অধিবেশন শেষের ফাইলটি পাঠানো হয়। তারপর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জানিয়ে দেন অধিবেশন সমাপ্ত করা হচ্ছে। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। পাশাপাশি, রাজ্যের মন্ত্রিসভার সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যপালের তরফে এমনই খবর সূত্রের।

ঠিক কী টুইট করেছেন রাজ্যপাল? টুইটে ধনখড় স্পষ্ট লিখেছেন, ‘সাংবিধানিক ক্ষমতা অনুযায়ী ১৭৪ (২) অনুচ্ছেদ বলে আমি রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন সমাপ্ত করছি।’ সঙ্গে রাজ্যপালের সই করা একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।

আর এতেই সংঘাতের আবহ দেখছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ঘটনায়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টই বলেছেন, “এই ধরনের ঘটনা অভিপ্রেত নয়। এমন কোনও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল টুইট করে জানাতে পারেন না।” প্রশাসনিক কোনও সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল টুইট করে জানাবেন এটা কাম্য নয় বলেই দাবি রাজ্য সরকারের।

প্রায় অনুরূপ সুর তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথায়। তাঁর মন্তব্য, “রাজ্যপালের স্বভাব হয়ে গিয়েছে টুইট করা। কিছু হলেই টুইট করতে শুরু করেন। ওঁকে বলব, আপনি সবুজ মনের মানুষ। সেরকমই থাকুন। কখনও গোপন প্রেমে পড়লে আবার টুইট করে ফেলবেন না! সম্পূর্ণ এক্তিয়ার ছাড়া একটি কাজ করেছেন রাজ্যপাল। আমাদের পরিষদীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কি আলোচনা হয়েছে  এ বিষয়ে?”

বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, “রাজ্যপালের হাতে অধিবেশন শুরু ও শেষ  করার অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। এর আগে কখনও এভাবে কোনও অধিবেশন সমাপ্তি নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপালের মধ্যে এমন বিরোধ দেখা যায়নি। প্রশ্নটা হচ্ছে, অধিবেশন অত আগে শেষ হয়েছে, তাহলে সমাপ্তির অনুমোদনে এত দেরি কেন? তাহলে কি রাজ্য ফাইল পাঠায়নি? নাকি রাজ্যপাল সই করেননি? যাই হোক না, যা হচ্ছে তা ভাল হচ্ছে না। একদম স্বাস্থ্যকর নয় রাজ্য ও রাজ্যপালের সম্পর্ক।”

রাজ্যপালের এ হেন সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা কী বলছেন? তাঁরা বলছেন, এর আগে কখনও এভাবে নির্দেশিকা জারি  করে রাজ্যপাল অধিবেশন সমাপ্তির কথা ঘোষণা করলেন তা কার্যত নজিরবিহীন। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, অধিবেশন শেষ হয়েছে গত ১৭ নভেম্বর। রাজ্যের তরফে অধিবেশন শেষের ফাইল এত দেরিতে কেন পৌঁছল? রাজভবনের সূত্র অনুযায়ী ১০ ফেব্রুয়ারি ফাইল পাঠিয়েছে রাজ্য। যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে কি এই ‘ধীরগতির’ কারণ নবান্ন-রাজভবন সংঘাত?

উল্লেখ্য, রাজ্যপাল শনিবার অধিবেশন সমাপ্তিকে কেন্দ্র করে প্রথম যে টুইটটি করেন তাতে খানিকটা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। মনে হয়েছিল, পরের বাজেট অধিবেশন শুরুর আগেই অধিবেশন স্থগিত করার ঘোষণা করেছেন রাজ্যপাল। পরে অবশ্য আরও একটি টুইট করে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করেন রাজ্যপাল।

বস্তুত, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নতুন কোনও ঘটনা নয়। সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে ‘ঘোড়ার পাল’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এমনকী টুইটারেও তাঁকে ‘বাধ্য’ হয়ে ব্লক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ২৬ জানুয়ারি বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে অধ্যক্ষকে বেনজির আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তার পরেই কড়া পদক্ষেপ করে রাজ্য। রাজ্যপাল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিধানসভায় আসতে চাইলে কারণ জানতে চাওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

এখানেই শেষ নয়, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে ভোট পরবর্তী হিংসা কিংবা পুরভোট আবহে হাওড়া পুরবিল বিতর্ক, একের পর এক বিতর্কে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ফের এই ঘটনায় নতুন করে রাজভবন-নবান্ন সংঘাত বাড়ল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আরও পড়ুন: WB Municipal Election 2022 LIVE Updates: ভোট শুরু হতেই ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ বিধাননগরে

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

 

কলকাতা: তাঁর সঙ্গে বরাবরই রাজ্য সরকারের ‘সংঘাতের সম্পর্ক’। বিভিন্ন সময়েই টুইটে ঝড় তোলেন তিনি। এ বার পুরভোটের দিনেই ফের বিতর্কের শিরোনামে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। টুইট করে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘সংবিধানের ১৭৪ (২)-এর অনুচ্ছেদের অধীনে ১২ ফেব্রুয়ারি অধিবেশন সমাপ্ত করা হচ্ছে।’ রাজ্যপালের ঘোষণা ঘিরে কার্যত বিতর্ক শুরু হয়েছে। কারণ,  ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে বিধানসভার দু’টি অধিবেশন হয়েছে। একটি বাজেট অধিবেশন ও অন্যটি শীতকালীন অধিবেশন। গত ১৭ নভেম্বর ছিল শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিন। সেদিন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়  অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি করে দেন। ফলে পরের অধিবেশন ডাকতে গেলে পরিষদীয় দফতরের রাজ্যপালের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। তাহলে সমস্যা কোথায়?

সংসদীয় রীতি অনুযায়ী, বাজেট অধিবেশন শুরু করতে রাজ্যের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। কেন্দ্রের ক্ষেত্রে অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি। বাজেট অধিবেশন শুরুই হয় রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত নিয়ে। শীতকালীন অধিবেশন শেষ হলেই পরিষদীয় দফতর সেই অধিবশন শেষের সমস্ত নথি পাঠিয়ে দেয় রাজভবনে। রাজ্যপাল তাতে সই করেন। তারপর ফের পরবর্তীতে একই পদ্ধতিতে পারস্পরিক আহ্বান ও অনুমোদনের মাধ্যমে নতুন (পড়ুন বাজেট ) অধিবেশন শুরু হয়।

সূত্রের খবর, সাম্প্রতিককালে, রাজ্যপাল ও রাজ্যের সম্পর্ক বেশ জটিল। ফলে, গত বছর ১৭ নভেম্বর অধিবেশন শেষ হলেও তার যাবতীয় নথি রাজভবনে সময়ে পাঠানো হয়নি বলে অভিযোগ। রাজ্যই ফাইল পাঠাতে দেরি করেছে এমনটাই অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি, রাজভবন সূত্রে  খবর, যে পরিষদীয় দফতর থেকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাজভবনে অধিবেশন শেষের ফাইলটি পাঠানো হয়। তারপর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জানিয়ে দেন অধিবেশন সমাপ্ত করা হচ্ছে। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। পাশাপাশি, রাজ্যের মন্ত্রিসভার সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যপালের তরফে এমনই খবর সূত্রের।

ঠিক কী টুইট করেছেন রাজ্যপাল? টুইটে ধনখড় স্পষ্ট লিখেছেন, ‘সাংবিধানিক ক্ষমতা অনুযায়ী ১৭৪ (২) অনুচ্ছেদ বলে আমি রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন সমাপ্ত করছি।’ সঙ্গে রাজ্যপালের সই করা একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।

আর এতেই সংঘাতের আবহ দেখছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ঘটনায়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টই বলেছেন, “এই ধরনের ঘটনা অভিপ্রেত নয়। এমন কোনও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল টুইট করে জানাতে পারেন না।” প্রশাসনিক কোনও সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল টুইট করে জানাবেন এটা কাম্য নয় বলেই দাবি রাজ্য সরকারের।

প্রায় অনুরূপ সুর তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথায়। তাঁর মন্তব্য, “রাজ্যপালের স্বভাব হয়ে গিয়েছে টুইট করা। কিছু হলেই টুইট করতে শুরু করেন। ওঁকে বলব, আপনি সবুজ মনের মানুষ। সেরকমই থাকুন। কখনও গোপন প্রেমে পড়লে আবার টুইট করে ফেলবেন না! সম্পূর্ণ এক্তিয়ার ছাড়া একটি কাজ করেছেন রাজ্যপাল। আমাদের পরিষদীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কি আলোচনা হয়েছে  এ বিষয়ে?”

বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, “রাজ্যপালের হাতে অধিবেশন শুরু ও শেষ  করার অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। এর আগে কখনও এভাবে কোনও অধিবেশন সমাপ্তি নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপালের মধ্যে এমন বিরোধ দেখা যায়নি। প্রশ্নটা হচ্ছে, অধিবেশন অত আগে শেষ হয়েছে, তাহলে সমাপ্তির অনুমোদনে এত দেরি কেন? তাহলে কি রাজ্য ফাইল পাঠায়নি? নাকি রাজ্যপাল সই করেননি? যাই হোক না, যা হচ্ছে তা ভাল হচ্ছে না। একদম স্বাস্থ্যকর নয় রাজ্য ও রাজ্যপালের সম্পর্ক।”

রাজ্যপালের এ হেন সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা কী বলছেন? তাঁরা বলছেন, এর আগে কখনও এভাবে নির্দেশিকা জারি  করে রাজ্যপাল অধিবেশন সমাপ্তির কথা ঘোষণা করলেন তা কার্যত নজিরবিহীন। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, অধিবেশন শেষ হয়েছে গত ১৭ নভেম্বর। রাজ্যের তরফে অধিবেশন শেষের ফাইল এত দেরিতে কেন পৌঁছল? রাজভবনের সূত্র অনুযায়ী ১০ ফেব্রুয়ারি ফাইল পাঠিয়েছে রাজ্য। যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে কি এই ‘ধীরগতির’ কারণ নবান্ন-রাজভবন সংঘাত?

উল্লেখ্য, রাজ্যপাল শনিবার অধিবেশন সমাপ্তিকে কেন্দ্র করে প্রথম যে টুইটটি করেন তাতে খানিকটা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। মনে হয়েছিল, পরের বাজেট অধিবেশন শুরুর আগেই অধিবেশন স্থগিত করার ঘোষণা করেছেন রাজ্যপাল। পরে অবশ্য আরও একটি টুইট করে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করেন রাজ্যপাল।

বস্তুত, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নতুন কোনও ঘটনা নয়। সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে ‘ঘোড়ার পাল’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এমনকী টুইটারেও তাঁকে ‘বাধ্য’ হয়ে ব্লক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ২৬ জানুয়ারি বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে অধ্যক্ষকে বেনজির আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তার পরেই কড়া পদক্ষেপ করে রাজ্য। রাজ্যপাল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিধানসভায় আসতে চাইলে কারণ জানতে চাওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

এখানেই শেষ নয়, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে ভোট পরবর্তী হিংসা কিংবা পুরভোট আবহে হাওড়া পুরবিল বিতর্ক, একের পর এক বিতর্কে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ফের এই ঘটনায় নতুন করে রাজভবন-নবান্ন সংঘাত বাড়ল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আরও পড়ুন: WB Municipal Election 2022 LIVE Updates: ভোট শুরু হতেই ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ বিধাননগরে

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

 

Next Article