কলকাতা: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহেই রেজিস্ট্রারদের ডাক পড়েছে বিকাশভবনে। তলব করেছেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সহজ কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে আর্থিক অবারোধের কথা বলতেই তৎপর হয়েছে বিকাশ ভবন। রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের তড়িঘড়ি করা হয়েছে তলব। কিন্তু, রাজ্য়ের ডাকে সাড়া দিতে রেজিস্ট্রারদের নিষেধ করছেন উপাচার্যরা। সূত্রের খবর এমনটাই। তাতেই শুরু হয়েছে নতুন চাপানউতোর। শ্যাম রাখি না কূল রাখি অবস্থায় খাবি খাচ্ছেন বিশ্ববিদ্য়ালয়গুলির ‘সেকেন্ড-ইন-কমান্ডরা’।
সূত্রের খবর, আচার্য তথা রাজ্যপালের সচিবালয় থেকে নির্দেশ গিয়েছে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে। সেখানেই বিকাশভবনের বৈঠকে রেজিস্ট্রারদের না যেতে বলা হয়েছে বলে খবর। উপচার্যরা সে কথা জানিয়েছেন রেজিস্ট্রারকে। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা রেজিস্ট্রারকে মিটিংয়ে যেতে নিষেধ করেছেন। তাতেই চাপে পড়েছেন রেজিস্ট্রার। কাজ করছে দুরকম ভয়, না গেলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিতে পারে বিকাশভবন, আবার গেলে রাজ্যপালের নির্দেশ আমান্য করা হয়ে যাবে। এখন দেখার পরিস্থিতি কোনদিকে যায়।
সূত্রের খবর, বেশ কয়েকজন রেজিস্ট্রার ইতিমধ্যেই শিক্ষা দফতরকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটার শিক্ষক নেতা পার্থ প্রতিম রায় বলেন, “আমরা বারেবারে বলছি রাজভবন ও বিকাশভবন আলোচনায় বসুক। তা নাহলে শিক্ষা পিছনের দিকে চলে যাচ্ছে। এই সংঘাতের পরিবেশ কখনও থাকা উচিত নয়। এতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছাত্ররা। রেজিস্ট্রারদের যদি কোনও মন্ত্রী ডাকেন তাহলে তাঁদের যাওয়া উচিত বলে আমাদের মনে হয়।” পরিস্থিতি দেখে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার। বলছেন, “পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষার আজ ভয়ঙ্কর অবস্থা। আমরা বহুদিন থেকে চেষ্টা করছি যাতে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপাল এক জায়গায় বসে আলোচনা করুক। এই সঙ্কটে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা খুবই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে।”