কলকাতা: কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিয়েই করতে হবে পঞ্চায়েত ভোট। নাহলে ভোটের কাজ করতেই যাবেন না শিক্ষক ও সরকারি কর্মীরা। এই দাবি জানিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল সংগ্রামী যৌথমঞ্চের সদস্যরা। যে সরকারি কর্মীরা গত কয়েক মাস ধরে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা সহ একাধিক দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁরাই শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তাঁদের দাবি জানিয়ে এসেছেন। বৃহস্পতিবারই ভোটের দিন ঘোষণা করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। এদিন যৌথমঞ্চের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম কমিশনার। তবে আলোচনার জন্য কমিশনারের সঙ্গে বসার আবেদন জানিয়েছেন সংগ্রামী যৌথমঞ্চের সদস্যরা।
মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ এদিন অতীতের ভোট-সন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ভোটে যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়, তা থেকে মুক্ত করতে হবে। ভোট কর্মী ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।’ তাঁর দাবি, পুলিশ এ ক্ষেত্রে অসহায়। তাঁদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ করে ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘সেই অবস্থা থেকে মুক্ত করতে হবে।’
একই সঙ্গে ভোট কেন্দ্রে ক্যামেরার ব্যবস্থা সহ একাধিক দাবি জানিয়েছেন মঞ্চের সদস্যরা। তাঁদের আর্জি, প্রিসাইডিং অফিসারদের দেওয়া তথ্য কেন্দ্রীয় সার্ভারে রাখতে হবে। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা। ভাস্কর ঘোষ আরও বলেন, ‘২০১৩ বা ২০১৮-র অভিজ্ঞতা ভাল নয়। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করতে দেওয়া হয় না পুলিশকে। তাই এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী না আনা হলে শিক্ষক ও সরকারি কর্মীরা ভোটের কাজ করবে না। তাতে কমিশন আমাদের বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেবে, তার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত আছি। আর আমরা যা করব, তার জন্যও যেন কমিশন প্রস্তুত থাকে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার এই ইস্যুতে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারে কমিশনকেই সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।