কলকাতা : পাঁচ বছর পর নির্বাচন হতে চলেছে পাহাড়ে। সব জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে ঘোষণা হল ভোটের দিন। মঙ্গলবার দার্জিলিং-এ ছিল সর্বদলীয় বৈঠক। আর সেই বৈঠক শেষে ভোট ও গণনার দিন ঘোষণা করা হল। বৈঠকের পর জানানো হয়েছে, আগামী ২৭ মে ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। সে দিন থেকেই মনোনয়ন জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩ জুন। আর নির্বাচন হবে ২৬ জুন। ভোট গণনা হবে ২৯ জুন। এত বছর পর এই নির্বাচন ঘিরে যে পাহাড়ে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে, তা স্পষ্ট।
গত মার্চ মাসে পাহাড়ের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত জিটিএ নির্বাচনের দিকেই ছিল তাঁর নজর। বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, চারটি সংগঠনের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। প্রত্যেক দলের নেতারাও ছিলেন বৈঠকে। আর তাঁরা সবাই চেয়েছেন নির্বাচন হোক। মে মাসেই যাতে নির্বাচন হয়, তেমন বার্তাই দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার দার্জিলিং-এ জেলাশাসকের দফতরে ডিভিশনাল কমিশনার এআর বর্ধনের পৌরহিত্যে এই বৈঠক হয়েছে। বৈঠক শেষে এজি বর্ধন সাংবাদিক বৈঠক করে ভোটের দিন ঘোষণা করেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, এ দিন বৈঠকে ছিলেন না বিজেপির কোনও প্রতিনিধি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন স্থগিত ছিল। একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ নির্বাচন করানো নিয়ে মুখ খুলেছেন। পাশাপাশি, সম্প্রতি পাহাড়ের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মমতাকে মুখ খুলতে শোনা গিয়েছে। প্রায় এক দশক ধরে সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়নি।
জিটিএ-র বৈঠক বিজেপির বয়কট করা স্বাভাবিক ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুভাষ সরকার। তাঁর দাবি, ২০১৭-র পর থেকে জিটিএ-র কোনও আইনগত অস্তিত্বই নেই। তিনি আরও জানান, জিটিএ-তে রাজ্যের একজন সিগনেটারি ছিলেন বিমল গুরুং। তিনি পরিষ্কার বলেছেন, জিটিএ নিজেদের কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেনি। বিজেপি পাহাড়ের উন্নতি চায় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে পাহাড় সমস্যার সমাধান চাইছেন তাঁরা।