কলকাতা: হালতুতে নবীন সঙ্ঘ কালীপুজোর মণ্ডপ ভাঙচুরের অভিযোগ। নেপথ্যে তৃণমূল বনাম তৃণমূল। এক পুজো উদ্যোক্তাকে মেরে চোখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগের তির ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার অনুগামীদের দিকে।
জানা যাচ্ছে, শনিবার রাতে হালতুর নবীন সঙ্ঘ ক্লাবের কালীপুজোর প্যান্ডেলের ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে ছিলেন কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার গাড়ির চালক ও তাঁর লোকজন। সে সময়ে ক্লাবের সামনে সমীরণ সাহা ও তাঁর স্ত্রী দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদেরকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সমীরণকে এমনভাবে মারা হয়, তাঁর দুটো চোখ কার্যত নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম। পুজো মণ্ডলে বেপরোয়া ভাঙচুর চালানো হয়। কেবল প্রতিমা ভাঙা হয়নি। মণ্ডপের যাবতীয় সাজসজ্জা, চেয়ার টেবিল সবই ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।
আক্রান্তদের অভিযোগ, লিপিকা মান্না বারবার এই এলাকার দখল নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা অপর কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অনুগামী হওয়াতেই এই হামলা।এই পুজো কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি বলেন, “গত ডিসেম্বর মাসেই আমাদের ক্লাবটাকে দখল করতে এসেছিল। আমাদের এখানে প্রতি বছর নির্বাচন হয়, ইলেকশন করে সিলেকশন করি। ওরা চাইছিল সরাসরি সিলেকশন করতে। লিপিকা মান্না পারেনি। গো হারা হেরে যান। সুশান্ত ঘোষ এবারের উদ্বোধন করেন। এটাও লিপিকার রাগ। আসলে ওরা এসেছিল আমাকেই খুন করবে বলে।”
কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ বলেন, “আমি গোটা বিষয়টি জানি না। আমি অন্য এলাকায় রয়েছি। শুনেছি পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আমি ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ বছর কাউন্সিলর ছিলাম। পুজো ১২ বছর ধরে উদ্বোধন করি। ক্লাবের ছেলেদের সঙ্গে তো আমার পুরনো পরিচয়। ওরা ডাকলে যেতেই হবে।”
কাউন্সিলর লিপিকা মান্না অবশ্য বলছেন, “আমার কাছে এরকম কোনও খবর নেই। যখনই কোনও গন্ডগোল হবে, তখনই এর অনুগামী, ওর অনুগামী বলে দোষ চাপিয়ে দিলে চলবে না। আমার কাছে এখনও পর্যন্ত এরকম কোনও খবরই নেই।”