কলকাতা: নারায়ণপুরে অভিজাত আবাসন থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। খুন (Murder) না আত্মহত্যা (Suicide)? মৃত্যুর কারণ নিয়ে বাড়ছে রহস্য। তদন্তে নারায়ণপুর থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, শনিবার রাতে নারায়ণপুর থানার অন্তর্গত বেড়াবেড়ি সিকির বাগান এলাকার অভিজাত আবাসন থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে খবর, গৃহবধূর নাম অপর্ণা ঘোষ (২৬)। আবাসনের চার নম্বর ব্লকের ২বি-তে ওই গৃহবধূ ও তাঁর স্বামী থাকতেন। চার বছর আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। আচমকা এদিন গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
মৃত্যুর কারণ নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তির জেরে খুন, নাকি দাম্পত্য কলহের জেরে আত্মহত্যা তা বোঝার চেষ্টা করছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওই আবাসন সহ এলাকার বাসিন্দাদের। আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানান, ছয় মাস আগে আবাসনে আসেন ওই দম্পতি। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই মৃতের স্বামী প্রসূন মজুমদারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। কী কারণে মৃত্যু সেটাই এখন তদন্ত করে দেখছে নারায়ণপুর থানার তদন্তকারী অফিসাররা। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মৃতদেহ। যে সময় প্রসূনকে গাড়িতে তুলছে পুলিশ তখন তাঁকে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুর কারণের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলেও কোনও কথা বলতে চাননি তিনি। সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলতে চাননি আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দারাও।
আবাসনের সিকিউরিটি গার্ড আনিসুর রহমান বলেন, “আজ সন্ধ্যায় ওই মহিলার স্বামীকে এখানে ঘোরাঘুরি করতে দেখি। কথা বলতে গেলে ও জানায় ঘরের দরজা লক হয়ে গিয়েছে। যদিও তখনও ঘটনার কথা জানতাম না। এরপরই হইচই শুনি। জানতে পারি এই কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। শুনি ওর স্ত্রী গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে গিয়েছে। তবে ওদের মধ্যে কোনও অশান্তি হতে দেখিনি। আমি এখানে ডিউটিতে আসার পর অস্বাভাবিক কিছু দেখিনি। তবে ঘরের মধ্যে কিছু হয়েছিল কিনা জানি না। তবে ফ্ল্যাটটা ওদের নিজেদের কিনা নাকি ভাড়া থাকত তাও জানি না।”