বেহালায় উদ্ধার প্রোমোটারের ঝুলন্ত দেহ, দেনার দায়ে অবসাদ নাকি অন্য কিছু?

ঋদ্ধীশ দত্ত | Edited By: সোমনাথ মিত্র

Mar 24, 2021 | 4:52 PM

মঙ্গলবার সকাল ১১ টা নাগাদ রাজা রামমোহন রায় রোডর বাসিন্দা পুষ্পেন পালের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তার ভাই অরিন্দম পাল। দোতলা বাড়ির একতলার অফিস ঘর থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

বেহালায় উদ্ধার প্রোমোটারের ঝুলন্ত দেহ, দেনার দায়ে অবসাদ নাকি অন্য কিছু?
প্রতীকী চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: এক প্রোমোটারের অস্বাভাবিক মৃত্যু (Death) ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ কলকাতার (Kolkata) বেহালা এলাকায়। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল ১১ টা নাগাদ রাজা রামমোহন রায় রোডর বাসিন্দা পুষ্পেন পালের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তার ভাই অরিন্দম পাল। দোতলা বাড়ির একতলার অফিস ঘর থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

সূত্রের খবর, অরিন্দম পাল সকালে দাদাকে ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ পাননি। এরপর অফিস ঘরের ভেজানো দরজা খুলতেই দেখতে পান তাঁর দাদা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে বিছানার চাদর জড়িয়ে ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে পাড়া প্রতিবেশী জড়ো হয় এলাকায়। এরপর বেহালা থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

পাড়া-প্রতিবেশীদের মতে, প্রোমোটিং ব্যবসায় প্রচুর ধারদেনা হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর অবিক্রিত ফ্ল্যাটও ছিল ওই ব্যক্তির। বিভিন্ন মানুষের কাছে ধার দেনা হওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পুষ্পেনবাবু। সেই কারণেই কি তিনি এই পথ বেছে নিলেন? এই নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে চাপান-উতোর।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের, আটক বেশ কয়েকজন

পুষ্পেনবাবুর ওই বাড়িতে থাকেন তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। বহুদিন ধরেই প্রমোটার হিসাবে এলাকায় বেশ সুনামও ছিল তাঁর। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বেহালা থানা পুলিশ। এই ঘটনায় বেহালা থানা একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।

আরও পড়ুন: ১ এপ্রিল থেকে মেনে চলতে হবে নয়া গাইডলাইন, নির্দেশ কেন্দ্রের

Next Article