Harassment Cases in High Court: সব ধর্ষণ মামলাতেই লোডশেডিং কেন একটা বড় ‘ফ্যাক্টর’? বিদ্যুৎ পর্ষদের কাছে রিপোর্ট চাইল আদালত

Harassment Cases in High Court: রাজ্যে একাধিক জায়গায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আর সেই মামলার শুনানিতে প্রশ্ন উঠল রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে।

Harassment Cases in High Court: সব ধর্ষণ মামলাতেই লোডশেডিং কেন একটা বড় 'ফ্যাক্টর'? বিদ্যুৎ পর্ষদের কাছে রিপোর্ট চাইল আদালত
কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 02, 2022 | 4:08 PM

কলকাতা : হাঁসখালি, মাটিয়া, ময়নাগুড়ি, পিংলা- পরপর ধর্ষণ বা গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে। ময়নাগুড়ি, হাঁসখালির মতো একাধিক জায়গায় মৃত্যুও হয়েছে নির্যাতিতার। রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে সরব বিরোধীরা। আর এই সব নির্যাতনের মামলায় এবার এক অন্য প্রশ্ন উঠল আদালতে। গ্রামাঞ্চলে এই ধরনের বেশি ভাগ অভিযোগের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, অন্ধকারে অর্থাৎ এলাকা বিদ্যুৎহীন থাকাকালীন ঘটনা ঘটেছে। তাই সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের শুনানিতে রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সোমবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ও বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি।

কেন বহু জায়গায় বিদ্যুৎ থাকছে না?

ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি-কাণ্ডে বহু জায়গায় বিদ্যুৎ থাকছে না এই অভিযোগ উঠছে। গোটা রাজ্যে কোথায় কী অবস্থা? সেই রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির। বিদ্যুৎ পর্ষদের তরফে জানানো হয়, স্থানীয় প্রশাসন যদি গ্রামের রাস্তার আলো চায় এবং তার জন্য বিদ্যুতের বিল দেয়, তাহলে সেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছনো হয়। বিচারপতি বলেন, ‘রিপোর্ট দিয়ে জানান, কারণ এটা অনেক বড় বিষয়।’

অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দেওয়ার নির্দেশ

সাম্প্রতিক ধর্ষণ ও গণধর্ষণের মামলাগুলিতে প্রতিটি ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পদক্ষেপ শুরু করার নির্দেশ দিল আদালত। এই ধর্ষনগুলির ক্ষেত্রে শিশু সুরক্ষা ও নারী সুরক্ষা কমিশনকে আগামী শুনানিতে অংশ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জমা পড়ল ধর্ষণ মামলার রিপোর্ট

গত ১৯ এপ্রিল প্রথম রাজ্যের পাঁচটি ধর্ষণ ও গণধর্ষণের মামলায় রিপোর্ট জমা পড়েছে আদালতে। কেস ডায়েরি জমা পড়েছে। সোমবারও একাধিক মামলার রিপোর্ট জমা পড়ল। নামখানা ও পিংলায় আইপিএস অফিসারদের নেতৃত্বে তদন্ত চলছে। সেখানে লিগাল সার্ভিস অথরিটির কাছে ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে। জেলা লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করতে আইপিএস দময়ন্তী সেনকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে হচ্ছে। ফলে বেশ সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে তিনি এজিকে জানিয়েছেন। তাঁর তৈরি রিপোর্টও জমা পড়েছে এ দিন। নামখানা মামলায় ১৬১ ধারা অনুযায়ী বয়ান নেওয়া হয়েছে, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।

শান্তিনিকেতনের আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় মোবাইল ফোন, কল ডিটেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফরেন্সিক রিপোর্ট তৈরি হয়েছে ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পিংলার ধর্ষণ মামলায় পারুল কুশ জৈনের নেতৃত্বে কেস ডায়েরি দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরিবারকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। অন্যান্য মামলাগুলিতেও রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে এ দিন।

আরও পড়ুন : PIL in Calcutta High Court: এতদিন ধরে গরমের ছুটি কেন? এবার মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে