PIL in Calcutta High Court: এতদিন ধরে গরমের ছুটি কেন? এবার মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে
Calcutta High Court: বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা জানান, গরমের অজুহাতে দীর্ঘ ৪৫ দিন গ্রীষ্মের ছুটি দেওয়ার বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের হয়েছে। ছুটি কমানোর আর্জি জানিয়েই এই মামলা।
কলকাতা: দেড় মাস গরমের ছুটি (Summer Vacation) নিয়ে ইতিমধ্যেই তুমুল বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিরোধীরা এক জোটে নিশানা করেছে শাসকদলকে। বিভিন্ন স্কুলেও ক্ষোভ বিক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছে। এবার টানা এই ছুটির বিরোধিতায় আর্জি গেল আদালতে। সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের হয়েছে। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি এই মামলা করেছে। তাদের বক্তব্য, গরমের অজুহাতে ৪৫ দিন ধরে ছুটি দেওয়ার কোনও যুক্তিই নেই। গরমের ছুটি কমানোর আর্জি জানিয়েছে তারা। আগামী সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের এজলাসে এই জনস্বার্থ মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা জানান, গরমের অজুহাতে দীর্ঘ ৪৫ দিন গ্রীষ্মের ছুটি দেওয়ার বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের হয়েছে। ছুটি কমানোর আর্জি জানিয়েই এই মামলা। মামলাকারীদের দাবি, রাজ্য সরকার ২ মে থেকে গরমের ছুটির কথা বলেছে। যা ৪৫ দিন ধরে চলবে। তাদের প্রশ্ন, কেন এতদিন ছুটি দেওয়া হল? রাজ্যের সর্বত্র কি আদৌ তাপপ্রবাহ হচ্ছে? আবহাওয়া দফতরও কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের কথা বলেছে। সেটা দক্ষিণবঙ্গে। তাহলে উত্তরবঙ্গেও কেন টানা এতদিন স্কুল বন্ধ থাকবে? একইসঙ্গে মামলাকারীদের বক্তব্য, এই মুহূর্তে সর্বত্রই আবহাওয়ার বদল হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টি, কালবৈশাখীর কারণে সেই তীব্র দাবদহন নেই। এই পরিস্থিতিতে স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সমস্যা হওয়ার কোনও কথাই নয়।
সম্প্রতি নবান্ন থেকে শিক্ষা দফতরের সচিবকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, “যা গরম পড়েছে, ছেলেমেয়েদের খুব কষ্ট হচ্ছে। ২ মে থেকে স্কুলগুলি ছুটি দিয়ে দাও।” এরপরই ছুটির বিজ্ঞপ্তি সামনে আসে। যা নিয়ে বিজেপি, সিপিএম একযোগে রাজ্যের শাসকদলকে তুলোধনা করে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য ছিল, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হচ্ছে। অথচ সেখানেও গরমের জন্য স্কুল কলেজ বন্ধ। এই সরকারের কাজই হচ্ছে সব কিছু বন্ধ রাখা। অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর তোপ ছিল, “আগামী কয়েক দিনে গরম কমে যাওয়ার কথা। এটা কি মুড়ি মুড়কি? বিশেষজ্ঞদের মত না নিয়েই কেন এই ঘোষণা করা হল?” এবার এই প্রশ্নগুলিকে সামনে রেখেই আদালতের দ্বারস্থ হল বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: আদুল গা, পরণে গামছা, কাশীপুর ঘাটে নিহত বিজেপি কর্মীদের তর্পণে দিলীপ ঘোষ